ছিলেন না নেইমার। লাইপজিগকে নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপে নিজেদের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে পিএসজি। জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি। এমবাপ্পে একটি গোল করেছেন ।
মেসি এই নিয়ে ক্যারিয়ারে ৩৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে জোড়া বা তার চেয়ে বেশি গোল করলেন। প্রথমবারের মতো পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে করলেন।
মেসি আর এমবাপ্পের সঙ্গে আক্রমণভাগে সঙ্গী হয়েছিলেন জার্মান উইঙ্গার ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। শুরু থেকেই মেসিদের চেপে ধরে লাইপজিগ। এমবাপ্পে দুর্দান্ত এক আক্রমণে নয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিলেন। ২৮ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যান লাইপজিগ স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভা। দলকে সমতায় ফেরান।
পিএসজিকে ক্রমাগত চাপে রাখার ফসল ৫৭ মিনিটে ঘরে তোলে লাইপজিগ। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ফরাসি রাইটব্যাক নর্দি মুকিয়েলে। গা ঝাড়া দিয়ে উঠল পিএসজির মেসি-এমবাপ্পে জুটি। ৬৭ মিনিটে এমবাপ্পের সহায়তায় নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান মেসি।
সাত মিনিট পর আবারও মেসি-এমবাপ্পে ঝলক। বক্সে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে যাওয়া এমবাপ্পেকে বাজেভাবে ফাউল করে বসেন লাইপজিগের ফরাসি সেন্টারব্যাক মোহাম্মদ সিমাকান। সেখান থেকে পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নিজে না নিয়ে এমবাপ্পে পেনাল্টি নিতে বলেন মেসিকে। দুর্দান্ত পানেনকা শটে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। ম্যাচের একদম শেষ মূহুর্তে পিএসজি আরেকটা পেনাল্টি পেলে সেটা অবশ্য মেসি নেননি। হ্যাটট্রিক করার সুযোগ থাকলেও নিঃস্বার্থভাবে এমবাপ্পেকে পেনাল্টিটা দিয়ে দেন। কিন্তু সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন এমবাপ্পে।
গ্রুপ ‘এ’ তে সাত পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে পিএসজি। এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। চার পয়েন্ট নিয়ে ক্লাব ব্রুগা আছে তৃতীয় স্থানে। এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতেই পারেনি লাইপজিগ।