ভাল লড়েও লঙ্কানদের কাছে টাইগারদের এমন হার‍

সুপার টুয়েলভে লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটে পরাজিত হলো বাংলাদেশ। ম্যাচটি প্রায় বাংলাদেশের হাতেই ছিল। সাইফউদ্দিনের বলে হাসারাঙ্গা আউট হওয়ার পরই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যায় বাংলাদেশ। তার আগে এক ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।

শ্রীলঙ্কার দলীয় রান যখন ৭৯, ঠিক তখনই আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। তার বলে নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন হাসারাঙ্গা। গ্যালারিতে টাইগার সমর্থকদের উল্লাস বেড়ে যায়। এর পরই ঘটলো বিপত্তি। ওই মুহূর্তে ক্রিজে সেট হওয়া আসালাঙ্কা ও পরে ঝড়ো ইনিংস খেলতে থাকা রাজাপাক্ষা, দুই জনেই ক্যাচ তুলে দেন। মোটামুটি সহজ ক্যাচ দু’টো তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন দাস। যার মাশুলও দিতে হলো বাংলাদেশকে।

১৯তম ওভারে রাজাপাক্ষাকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান নাসুম আহমেদ। কিন্তু ততক্ষণে টাইগারদের হাত থেকে ম্যাচ ফসকে গেছে। আউট হওয়ার আগে ৩ ছয় ও ৩ চারের সাহায্যে ৩১ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রাজাপাক্ষা। অপরপ্রান্তে, ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আসালাঙ্কা। তার ইনিংসে ৫টি ছয় ও সমান সংখ্যক চারের মার ছিল। এই দুজনের ওপর ভর করে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ। এর মধ্যে ৩ ওভারে ১৭ রান দেন সাকিব ও এক বল কম করে নাসুম খরচ করেছেন ২৯ রান। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন সাইফউদ্দিন। ৩ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়েছেন। এর মধ্যে তৃতীয় ওভারেই দিয়েছেন ২২ রান। ম্যাচ হারার পেছনেও এটি অন্যতম কারণ। অবশ্য লিটনের হাতে জীবন না পেলে হয়তো এমন মার খেতে হতো না সাইফকে।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লঙ্কানরা। দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস। তবে দলীয় ৪০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৬ রান করে ফিরে যান লিটন দাস। এরপর আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। করুণারত্নের দুর্দান্ত একটি ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তার আগে দুই চারের সাহায্যে ৭ বলে ১০ রান করেন।

এর পরই নাঈম শেখকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক। দু’জনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬১ রান করে ফিরে যান নাঈম। ৫২ বলে সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চারের মার।

শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। তার এই ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছয়ের মার। আরেক অপরাজিত ব্যাটার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ৫ বলে ১০ রান। তার আগে ব্যক্তিগত ৭ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন আফিফ হোসেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts