লালন, হাছন, পাঞ্জু শাহ, শাহ আব্দুল করীম কিংবা আবদুর রহমান বয়াতীর মত সুর সাধকেরা এ দেশের মরমী সংগীতকে লালন ও ধারণ করে আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা উপহার দিয়ে গেছেন। বর্তমান প্রজন্মের বাউলেরা তারই পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর একটি ভালোবাসাময় সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল উন্মাদনার বিরুদ্ধে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গত রোববার শিল্পকলার সংগীত ও নাট্যকলা মিলনায়তনে সুরেসুরে শান্তি ও সাম্যের আহবান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দেশশ্রেষ্ঠ বাউলেরা।
৩০ বাউলের কণ্ঠছড়া সুর ঝংকরে কেঁপে কেঁপে উঠেছিল শিল্পকলার অঙ্গন। মানুষের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ঈশ্বর, শান্তি ও সম্প্রীতির অক্ষয় বাণী।
একুশে পদক প্রাপ্ত বাউল সংগীত সাধক আবদুর রহমান বয়াতী স্মরণে আয়োজিত এ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী বাউল সন্ধ্যায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি ও সংস্কৃতিসেবক শাহীন রেজা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশবরেণ্য তিন বাউল শফি মন্ডল, শামসুল হক চিশতী এবং কাঙ্গালিনী সুফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সভাপতি শাহীন রেজা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান বয়াতী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলম বয়াতী। কবি ও সুরের তালে তালে দর্শদের মুগ্ধ করে তোলেন, বাউল শফি মন্ডল, শামসুল হক চিশতী, কাঙ্গালিনী সুফিয়া, টুনটুন ফকির, আবদুল কুদ্দুস বয়াতী, ফকির শাহাবুদ্দীন, আকলিমা সরকার, পাগলা বাবলু, সমির বাউল, আয়নাল হক, আলেয়া বেগম, হীরক রাজা, বিদ্যুত ক্ষ্যাপা, বাবুল সর্দার, নয়ন সাধু, আমজাদ বাউল, মানিক দেওয়ান, মিরাজ দেওয়ান, গরীব মুক্তার, তাকবীর শাহ, ফারুক নুরী, এস আর মানিক, আশিক দেওয়ান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তারুন্যর ব্যান্ড অহর্নিশ ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
অনুষ্ঠানে তিন বরেন্য বাউলকে বিশেষ সম্মাননা জানায় বৈচিত্র টিভি আর আব্দুর রহমান বয়াতীর বাদ্যযন্ত্রের অনুকরণে তৈরী সম্মাননায় সবাইকে ভূষিত করা হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
সূত্র: আলম বয়াতী, সভাপতি-আবদুর রহমান বয়াতী ফাউন্ডেশন