টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
উপনির্বাচনে জহুরুল ইসলাম আজাদ (বোতল) ৩৩৮ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তিনি দুই কেন্দ্রে মোট ২২৬৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোশারফ হোসেন (ডালিম) মোট ১৯২৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনে ৭২৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মীর মঈনুল হক লিটন (উটপাখি)।
এদিকে শহরে এই উপনির্বাচনকে ঘিরে সারাদিন রাজনৈতিক উত্তাপ বিরাজ করে। নিবার্চন চলাকালীন সময়ে দুই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ও ভোট দেন স্থানীয় এমপি ছানোয়ার হোসেন।
এছাড়া পর্যবেক্ষন করেন জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। নির্বাচন সুষ্ঠ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয় কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডটি বেড়াডোমা, দিঘুলিয়া, পার দিঘুলিয়া, বেপাড়িপাড়া, ফকির পাড়া ও ঘোনাপাড়া নিয়ে গঠিত হয়েছে। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ৭ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৩ হাজার ৮৫১ ও পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৬২১ জন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এই উপনির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এরা হলেন- জহুরুল ইসলাম আজাদ (বোতল), মোশারফ হোসেন (ডালিম), মীর মঈনুল হক লিটন (উটপাখি), আমির হোসেন (টেবিল ল্যাম্প), হাবিবুল হাসান কনক (পাঞ্জাবি)। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর আমির হোসেন (টেবিল ল্যাম্প) ও হাবিবুল হাসান কনক (পাঞ্জাবি) নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ায়।
এই ওয়ার্ডের দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় ও বেড়াডোমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের এই দুই কেন্দ্রে ১২ জন পুলিশ এবং ১৬ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, উপনির্বাচন সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম আজাদ (বোতল)। নির্বাচনে ফলাফলে দেখা যায়, দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জহুরুল ইসলাম আজাদ (বোতল) পেয়েছেন ২৩০ ভোট, মোশারফ হোসেন (ডালিম) পেয়েছেন ১৬৪০ ভোট, মীর মঈনুল হক লিটন (উটপাখি) পেয়েছেন ৬৬০ ভোট। অপরদিকে বেড়াডোমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জহুরুল ইসলাম আজাদ (বোতল) পেয়েছেন ২০২৬ ভোট, মোশারফ হোসেন (ডালিম) পেয়েছেন ২৮৮ ভোট, মীর মঈনুল হক লিটন (উটপাখি) পেয়েছেন ৬৫ ভোট।
এদিকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো দুই প্রার্থী আমির হোসেন (টেবিল ল্যাম্প) ৬ ভোট ও হাবিবুল হাসান কনক (পাঞ্জাবি) ১০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া দুই কেন্দ্রে মোট ৩১টি ভোট বাতিল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত (৩০ জানুয়ারি) পৌরসভা নিবার্চনে আনোয়ার সাদাত তানাকা এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নিবার্চিত হয়। কিন্তু গত (২০ জুন) কাউন্সিলর তানাকা হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণেই এ ওয়ার্ডে উপনিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়।
এআই/টি