স্কটল্যান্ডের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হারে শুরু বিশ্বকাপ। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারেই সুরটা কেটে গিয়েছিল। লিটন দাসের দুই ক্যাচ মিস যেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ললাট লিখে দিয়েছিল। সমালোচনার স্রোত, পারফর্ম করতে না পারার হতাশা মিলে দলটা ডুবে যায় ব্যর্থতার চোরাবালিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁপিয়ে দিলেও তীরে তরী বেড়ানো যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে দুঃস্বপ্নের এক বিশ্বকাপ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) শেষ করলো বাংলাদেশ দল। লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমদের ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হলো। আগের ৫ আসরের মতোই সুপার-১২ পর্বে উন্নীত হওয়া এবং অংশগ্রহণেই সমাপ্ত বিশ্বকাপ মিশন। টানা ৫ ম্যাচ হেরে আজ (শুক্রবার) বিকেল ৫টায় দেশে ফিরছে ব্যর্থতার ভারে ন্যুজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
টসে হেরে আগে ব্যাট করে ১৫ ওভারে ৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ দল। জবাবে ৬.২ ওভারেই ২ উইকেটে ৭৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দল যেন ধ্বংসস্তূপের প্রতিচ্ছবি। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। দুবাইয়ের উইকেটে স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজেলউডদের দুর্বার গতির বোলিংয়ের সঙ্গে জাম্পার লেগ স্পিনে নাকাল মুশফিক-লিটনরা। এমন বোলিংয়ের জবাবই ছিল না কারো কাছে। আত্মসমর্পণের প্রদর্শনীই হয়েছে গতকাল। বাংলাদেশকে গুড়িয়ে দেয়ার কাজটা শুরু করেছিলেন স্টার্করা। পরে জাম্পা ব্যাটিংয়ের লেজটা গুটিয়ে দিয়েছেন।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার মূর্ত প্রতীক হয়েই থাকলেন লিটন, মুশফিক। গতকাল রানের খাতা খুলতে পারেননি লিটন, আফিফ, মেহেদী, শরীফুল। নির্ভরতাকে আরব সাগরে ভাসিয়ে দেয়া মুশফিক ৫ রান করে আউট হন। সৌম্যর (৫) ব্যাটও নিষ্প্রভ থেকে গেছে।
মাত্র তিনজন দুঅঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছেন। শামীম ১৯, নাঈম শেখ ১৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ রান করেন। জাম্পা ক্যারিয়ার সেরা ও বিশ্বকাপে অজিদের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন। স্টার্ক, হ্যাজেলউড ২টি করে, ম্যাক্সওয়েল ১টি উইকেট নেন।
নেট রান রেটের বিষয় আছে। তাই ম্যাচটা শেষ করতে সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চই আগুনে ব্যাটিংয়ে দ্রুত ম্যাচ করার কাজটা এগিয়ে দেন। তাসকিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২০ বলে ৪০ রান (২ চার, ৪ ছয়) করেন ফিঞ্চ। ওয়ার্নারকে (১৮) বোল্ড করেন শরীফুল। পরে মার্শের অপরাজিত ১৬ রানে জয় নিশ্চিত করে অজিরা।