নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে মাত্র ৪৩ দিন বয়সের ছাগলের বাচ্চা থেকে মিলছে দুধ। ফলে তা দেখার জন্য ছাগলের মালিক ফরিদা বেওয়ার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে এলাকার কৌতুহলী মানুষ।
ফরিদা বেওয়া বাজিতপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী। এ গ্রামের পশ্চিম পাড়া মোড় বাজারের দক্ষিণ পাশেই তার বাড়ি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফরিদা বেওয়া দীর্ঘদিন ধরে ছাগল লালন পালন করছেন। এর আগেও তার ছাগল দুইবার বাচ্চা দিয়েছে। কিন্তু এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। এবার একটি মাত্র ছাগী বাচ্চা হয়েছে। আর এই বাচ্চাটি একা হওয়ায় অল্প দিনেই হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে। সেই প্রসবের কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চাটির ওলান বড় হতে থাকে এবং অল্প-অল্প দুধ বের হতে থাকে। গত কয়েকদিন থেকে তা আরো বেড়েছে।
রাজশাহী জেলার চারঘাট এলাকার ডাকরা মাধ্যমিক কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, আমার এক আত্নীয়র কাছে শোনার পর আমি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন ছাগলের বাচ্চাটির বয়স ৩৬ দিন। দেখলাম ঘটনা সত্য। ফরিদা বেওয়া আমাদের দুধ দুয়ে দেখালেন। ওলানগুলোও অনেকটা বড়ো হয়েছে। যা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
ছাগলের বাচ্চাটি দেখতে আসা একই গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, কয়েকদিন থেকে শুনে বিশ্বাস হয়নি। তাই দেখতে এসেছি।
ফরিদা বেওয়া বলেন, প্রতিদিন দেখতে অনেক লোকজন আসছে। বারবার দুধ দুয়ে দেখাতে গিয়ে আমার বাড়ির কাজ ঠিকমতো করতে পর্যন্ত পারছি না। একদিনে প্রায় ৫০০ গ্রামের মত দুধ বের হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হোসাইন মো. রাকিবুর রহমান বলেন, হরমোনাল কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।