ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস দেওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় ভোলার মাটিতে প্রাপ্ত গ্যাস ভোলার ঘরে ঘরে দেওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিলো ‘ঘরে ঘরে গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটি-ভোলা’।

রোববার (৭ নভেম্বর) ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহি’র হাতে তুলে দেওয়া হয় ।

ঘরে ঘরে গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটি’র সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী ও সম্পাদক আবদুল জলিল নান্টু সাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়- বাংলাদেশে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। প্রতিনিয়ত গাছ কেটে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গৃহস্থলী কাজে, হোটেল রেস্তরায়, শত শত বেকারী কারখানায় ও বিভিন্ন ইট ভাটায় জ্বালানী হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ফলে ব্যক্তিগত বাগান, বাড়ির গাছের সাথে সংরক্ষিত বনের গাছও উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বিকল্প জ্বালানী হিসেবে গ্যাস’র ব্যবহার অতিব জরুরী। এতে চোরাই পথে উজাড় হওয়া বন রক্ষা পাবে। রক্ষা পাবে প্রকৃতি ও পরিবেশ।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপিতে বলা হয়- আপনি জানেন ভোলার শাহাবাজপুর গ্যাস কুপ থেকে নিয়োমিত গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এ গ্যাস বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্যে ১০৪ কিলো. পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। এ পাইপ লাইন থেকে সংযোগ দেওয়া সম্ভব লক্ষাধিক জায়গায়। ২০১৩ সালে ভোলায় গৃহস্থালী কাজে সংযোগ দেওয়া শুরু হয়। ধীর গতিতে সংযোগ দিতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস বিতরন কোম্পানী ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২০০৫ শত সংযোগ প্রদান করেন। ২০২০ সালের জানুয়ারীতে জ্বালানী মন্ত্রনালয় এক আদেশে গৃহস্থালী কাজে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সুন্দরবন গ্যাস বিতরন কোম্পানীর ডিমান্ড নোট অনুযায়ী আরও ১২শত পরিবার টাকা জমা প্রদান করে এবং ৪ হাজার পরিবার সংযোগ লাভের আবেদন জমা দেয়। জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের নির্দেশানুযায়ী গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় গ্রাহকের টাকা জমা নিয়েও সংযোগ দিতে পারে নাই। এহেন পরিস্থিতিতে গ্যসপ্রার্থীরা গ্যাস সংযোগ লাভে আপনার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য আন্দোলনে নেমেছে।

যে সব যৌক্তিক কারণে গ্রাহকরা গ্যাস সংযোগ চাচ্ছে, সেগুলো হচ্ছে-

১। যেহেতু ভোলার গ্যাস, জাতীয় গ্রীড লাইনের সাথে যুক্ত নয়।
২। যেহেতু বানিজ্যিক ও আবাসিক গ্যাস সংযোগের জন্যে ১০৪ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়ে গেছে ।
৩। যেহেতু কোম্পানী ডিমান্ড নোট অনুযায়ী ১২শত পরিবার থেকে টাকা জমা নিয়েছে
৪। যেহেতু ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস (২ ট্রিলিয়ন) মজুদ রয়েছে এবং ভোলার বিভিন্ন জায়গায় আরও অধিক গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং
৫। গ্যাসের ব্যবহার প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আরো বলা হয়- ভোলাবাসী আশা করে আপনি খুব শিগগিরই গ্যাস সংযোগের পুনঃ নির্দেশ দিয়ে ভোলা বাসীর মুখে হাসি ফোটাবেন।

Print Friendly

Related Posts