প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখলো নিউজিল্যান্ড। আগের আসরে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার দারুণ প্রতিশোধ নিয়েছে কিউইরা। শেষ চার ওভারে ৫৭ রান প্রয়োজন ছিল ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
ক্রিজে এসে ক্রিস জর্দানের উপর ঝড় তোলেন জেমস নিশাম। তার ১১ বলে ঝড়ো ২৭ রানে পথ ফিরে পায় কেন উইলিয়ামসনরা। শেষ দিকে ক্রিজে কামড়ে থাকা ড্যারিয়েল মিচেলের ব্যাটে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
আজ বুধবার রাতে আবুধাবিতে প্রথম সেমিফাইনালে ৫ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ইংলিশদের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছয় বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। চারটি করে চার ছ্ক্কায় ৪৮ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মিচেল।
যদিও ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট ১৬তম ওভারে জর্দানের কাছ থেকে ২৩ রান আদায় করে নেওয়া।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। মাত্র ১৩ রান দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। শুরুতে ওপেনার মার্টিন গাপটিল এরপরই ফেরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুই জনকেই সাজঘরে ফেরান ক্রিস ওয়াকস। দ্রুত উইকেট হারালেও দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন আরেক ওপেনার মিচেল ও নতুন ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে। তাদের ৮২ রানের জুটি ভাঙেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
গ্লেন ফিলিপস ক্রিজে এসে দলকে আরও বিপদে ফেলে গেলেন। ছয় হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন তিনি। লিভিংস্টোনের দ্বিতীয় শিকার হন এই ব্যাটার। যদিও এরপর ক্রিজে এসে চিত্র বদলে দেন নিশাম। শেষ চার ওভারে ৫৭ রান প্রয়োজন ছিল ব্ল্যাক ক্যাপসদের। ক্রিজে এসে ক্রিস জর্দানের উপর ঝড় তোলেন জেমস নিশাম। তার ১১ বলে ঝড়ো ২৭ রানে পথ ফিরে পায় কেন উইলিয়ামসনরা। শেষ দিকে মিচেলের ব্যাটে এক ওভার হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে কিউইরা। তাতেই বিদায় নেয় ইংলিশরা।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ইনজু্রিতে পড়ে জেসন রয় ছিটকে যাওয়ায় ওপেনিংয়ে জজ বাটলারের সঙ্গে আসেন জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে এই জুটি ভাঙেন এডাম মিলনে। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো (১৭ বলে ১৩)। নবম ওভারের প্রথম বলে আরেক ওপেনার বাটলারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ইশ সোধি। ২৪ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ডেভিড মালানের সঙ্গে দারুণ প্রতিরোধী জুটি গড়েন মইন আলী। এই যুগলের ৬৩ রানের লড়াকু জুুটি ভাঙেন টিম সাউদি। চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩০ বলে ৪১ করে কট বিহাইন্ড হন মালান। যদিও এরপর মইন আলীর ব্যাটে রানের চাকা দ্রুত এগিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। তার ঝড়ো অর্ধশতকে লড়াকু পুঁজি পায় ইংলিশ।