ধামরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ২, আহত অর্ধশতাধিক

মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাই উপজেলার মোট ১৫টি ইউপি নির্বাচনের পর রাতেই সহিংসতায় কুল্লা ও সুয়াপর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ধামরাইয়ের ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৮টিতে নৌকা, ও ৭টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয় অর্জন করেছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই শুরু হয় হামলা-সংঘর্ষ ও মারামারি।

এতে কুল্লা ইউনিয়নে হামলায় রাতুল নামে এক যুবক সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিন অবস্থায় মারা যান। এসময় আহত হন প্রায় ৮ জন। রাতেই সুয়াপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় নাছিরউদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এসময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের চরচৌহাট এলাকায় রাতেই নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভীন হাসান প্রীতির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় কমপক্ষে ১৯ জন।

এছাড়াও রোয়াইল, কুল্লা, সুয়াপুর ও সানোড়ায় সংঘর্ষ হয়েছে । এসব ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৮৫ জন। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।

এ ঘটনায় ধামরাই থানা পুলিশ সুজন (২৪) নামে ১ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনা ২টি পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটেছে। এসময় পৃথক স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক।ফলাফল ঘোষণার পর পরই বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে কয়েকটি। ধামরাই উপজেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার (১১নভেম্বর) রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বড়াকৈর গ্রামে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা জেরে তার ছেলে রিফাত রেজওয়ান রাতুল (৩৫) নিহত হয়েছে।

অপরদিকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, সুয়াপুর ইউনিয়নে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে কুরঙ্গী গ্রামে তার বাবা নসুর উদ্দিন (৮৫) নিহত হয়েছেন ।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আতিকুর রহমান ২ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সহিংসতা ঠেকাতে এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Print Friendly

Related Posts