জ.ই বু্লবুল :আধুনিক নবীনগরের রূপকার, মাটি ও মানুষের নেতা, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ এর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০০১ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন । তিনি চলে গেলেও তার অসংখ্য কর্ম এখনো চোখের সামনে দৃশ্যমান।তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে রয়েছেন। নবীনগরবাসী তাকে কোন দিন ভুলবেনা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে তাঁর অসামান্য অবদান। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশটাকে গড়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরাসরি সংস্পর্শে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। নিজের জন্য তিনি কোন দিন চিন্তা করেননি। মাটি ও মানুষের জন্য চিন্তা করে গেছেন। তাইতো তিনি মাটিও মানুষের অন্তরের স্থান করে নিতে পেরেছিলেন।
অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ ১৯৫১ সালে নবীনগর উপজেলার ধরাভাংগা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । ১৯৬৬ সালে রাঙ্গামাটি থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাশ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএফএলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি অ্যাডভোকেটশিপ সনদ পেলেও আইন পেশায় না গিয়ে সার্বক্ষণিক রাজনীতি নিয়ে সময় কাটিয়েছেন।
১৯৯১ সালে তিনি নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৭ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি নবীনগর মহিলা কলেজ, আধুনিক বাস ষ্ট্যান্ড, নবীনগর পৌরসভা, অসংখ্য পাকা রাস্তা, ব্রীজসহ অসংখ্য দৃশ্যমান কাজ করে গেছেন। আইন সংশোধন করিয়ে তিনি নবীনগর বাজারের এসআর জামে মসজিদটির নামে জায়গাটি এনে দেন। এখানে উল্লেখ্য যে-মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর যুগযুগ ধরে মসজিদের জায়গা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নামে ছিল।