কবি সাংবাদিক ও সংগঠক শাহ মতিন টিপুর জন্মদিন আজ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক॥ কবি সাংবাদিক ও সংগঠক শাহ মতিন টিপুর জন্মদিন আজ। তিনি ভোলার কৃতি সন্তান। জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৭ নভেম্বর নিজ জেলা ভোলায়।

সাংবাদিকতা ও সাহিত্য চর্চায় তার নাম শাহ মতিন টিপু ব্যবহৃত হওয়ায় এই নামেই দেশজুড়ে পরিচিতি তার। তার মূল নাম মোঃ আঃ মতিন। তার পড়ালেখার ও শৈশবের অধিকাংশ সময় ভোলায় নিজস্ব পারিবারিক আবহে পার করেন। সঙ্গত কারণে জন্মস্থানের প্রতি রয়েছে তার বিশেষ টান।

বাবা আলহাজ মোঃ জালাল আহাম্মদ, মা সিতারা বেগম। বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।

বাড়ি ভোলা সদরে হলেও বাবার চাকরির কারণে লেখাপড়া প্রাইমারি থেকে কলেজ পর্যন্ত চরফ্যাশন উপজেলায়। এখানেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। বাবা ধার্মিক হওয়ায় মাঝে তিনি মাদ্রাসায়ও লেখাপড়া করেন। আর এ কারণে আরবিতেও তিনি স্নাতোকোত্তর।

শাহ মতিন টিপুর সাহিত্য চর্চা ও সাংবাদিকতার উন্মেষ ঘটে চরফ্যাশনেই। এখানে তিনি ভোলা জেলার প্রথম সাপ্তাহিক ভোলাবাণীর প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি খুলনার আঞ্চলিক সংবাদপত্র দৈনিক প্রবাহ’র ভোলা জেলা প্রতিনিধির দ্বায়িত্ব পালন করেন। চরফ্যাশন প্রেসক্লাবেরও তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এরপর যত দিন যেতে থাকে তার সাংবাদিকতার পরিধিও বাড়তে থাকে। পর্যায়ক্রমে তিনি স্থানীয় সাপ্তাহিক ভোলাবাণী, সাপ্তাহিক দ্বীপবাণী, সাপ্তাহিক লালসূর্য, মাসিক ভোলাদর্পণ, ভোলার প্রথম দৈনিক আজকের ভোলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ মতিন টিপুর সাংবাদিকতা জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটে রাজধানী ঢাকায়। বর্তমানেও সাংবাদিকতা সুবাদে তিনি সপরিবারে ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। এখানে তিনি দৈনিক আজকের প্রত্যাশা, দৈনিক আজকের আওয়াজ, দৈনিক দেশজনতা, দৈনিক জনতা, দৈনিক সমাচার, দৈনিক স্পষ্টবাদী, দৈনিক মাতৃভূমি, দৈনিক খবরপত্র, দৈনিক কালবেলা, দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক বার্তা সম্পাদকের মতো দায়িত্বপূর্ণ পদে সমাসীন ছিলেন। তার সাংবাদিকতা জীবনের উল্লেখযোগ্য ও দীর্ঘ সময় কেটেছে বাংলাবাজার পত্রিকায়। ভোরের দর্পণ-এ বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইত্তেফাক, কালের কন্ঠ, সমকালসহ অনেক জাতীয় দৈনিকে ও সাপ্তাহিকে কলাম ও কবিতা লিখেছেন। আজকের কাগজের নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন।  তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দৈনিক রাইজিংবিডি ডটকমেও কর্মরত।

শাহ মতিন টিপু একজন বলিষ্ঠ সংগঠকও। ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন। তিনি ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম-ঢাকারও একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় একজন সদস্য। এ ছাড়া তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবেরও স্থায়ী সদস্য।

একসময় তিনি নাটক ও শিশু সংগঠনেও জড়িত ছিলেন। জড়িত ছিলেন লিটলম্যাগ আন্দোলনেও। এ সময় তার সম্পাদিত লিটলম্যাগ ছিল দ্বীপাঞ্চল, লালসূর্য, গাংচিল। বজ্রকন্ঠ নামে ১৫ আগষ্টের একটি স্মরণিকারও সম্পাদক ছিলেন তিনি।

এ যাবৎ তার সাহিত্য ও কলাম মিলিয়ে ৪শ’র বেশি লেখা প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘ছায়া ও ঘুণপোকা’। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

Print Friendly

Related Posts