খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বরিশালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২ আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ্ আসামিদ্বয়কে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। আসামিরা হলেন- বরিশাল নগরীর ২১নং ওয়ার্ডস্থ পুরাতন পাসপোর্ট অফিস লেনের এম,এ জলিল সড়কের বাসিন্দা এ.বি.এম সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও তার মেয়ে সৈয়দা সাবিকুন নাহার তুবা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর পুরাতন পাসপোর্ট অফিস লেন মেজর এম, এ জলিল সড়কের বাসিন্দা মো. খোর্শেদুল আলম সুজন দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তার পরিবারকে এলাকা থেকে উৎখাত করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন তারই প্রতিবেশী একই এলাকার বাসিন্দা এ.বি.এম সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও তার মেয়ে সৈয়দা সাবিকুন নাহার তুবা। আসামীদ্বয় খোর্শেদুল আলম সুজন ও তার স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা হাসি’র মানসন্মান ক্ষুন্ন করতে এলাকাবাসীর নিকট মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন ২০২০ইং সালাউদ্দিন ও তার মেয়ে তাদের নিজ ফেসবুক আইডি থেকে সুজন ও তার স্ত্রী হাসির ছবি ব্যবহার করে ছবির উপরে সন্ত্রাসী, খুনি, অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত এবং আরো কুরুচীপূর্ন মন্তব্য পোষ্ট করে। ফজিলাতুন নেসা হাসি তাদের এই কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাদের পরিবারের সকলকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে সুজন ও তার স্ত্রী হাসি গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপ পুলিশ কমিশনার, সহকারি পুলিশ কমিশনার ও বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মুখে মৌখিকভাবে অভিযোগগুলো পেশ করেন। পরবর্তীতে গত ১০ জানুয়ারি ২০২১ইং তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সালাউদ্দিন ও তার মেয়ে তুবাকে অভিযুক্ত করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ও ঢাকা থেকে সিআইডি’র প্রেরিত ফরেনসিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক আসামী এ.বি.এম সালাউদ্দীন আহম্মেদ ও তার মেয়ে সৈয়দা সাবিকুন নাহার তুবাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৫(২)/২৬(২)/২৯(২) ধারায় অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেন। এ মামলায় আসামীদ্বয় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর না করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।