পুঁজি মাত্র ১২৭ রানের হলেও পাকিস্তানকে শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানের মাথায় পাকিস্তান চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকেই হেলে পড়েছিল। কিন্তু এই চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশি বোলাররা। আশা জাগিয়েও হারের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আজ ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৭ রানের টাগেট ১৯.২ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর অনেকটা বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের দল থেকে ছেঁটে ফেলে ডাকা হয়েছে তরুণ সাইফ হাসান, ইয়াছির আলী রাব্বি, শহিদুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম শান্তদের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন এটাকে বলছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন পথচলা।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের সূচনা হয়েছিল দুর্দান্ত। ১২৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটিকে দাঁড়াতে্ দেয়নি বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প উপড়ে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের (১১)। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদের দারুণ এক বল স্ট্যাম্পে টেনে এনে বোল্ড বাবর আজম (৭)।
খানিক বাদে ১ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন হায়দার আলী ও শোয়েব মালিক। হায়দার মেহেদির দারুণ এক ডেলিভারি লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ। শোয়েব নুরুল হোসেন সোহানের দারুণ এক বুদ্ধিদিপ্ত থ্রোতে রান আউট। পাকিস্তানের স্কোর তখন ২৪/৪। কিন্তু এই চাপটা পরে আর অব্যাহত রাখতে পারল না বাংলাদেশ।
তিনে ব্যাটিং করতে নামা ফখর জামান তরুণ খুশদিল শাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে উইকেটে পড়ে থাকতে চেয়েছেন। দুজনকেই অবশ্য শুরুতে নড়বড়ে মনে হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে জড়তা কেটে যাওয়ার পর এই ফখর ও খুশদিলই পাকিস্তানকে জেতাতে বড় অবদান রাখলেন।