ইফতেখার শাহীন: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির দাবিতে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় বরগুনায় শনিবার সকাল ১১ টায় জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক গণঅনশনের আয়োজন করে। গন অনশন চলাকালে পুলিশ তাতে লাঠি চার্জ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের লাঠিচার্জে মহিলাদলের সভাপতি রিমা জামানসহ প্রায় ১২ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের ৪ জন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম দাবী করেন।
আহতরা হলেন, যুবদল নেতা, আ্যাডঃ আহসান হাবিব স্বপন, পারভেজ রেজা লিংকন, মারুফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, এনায়েত হোসেন রাজু, তাঁতীদল নেতা রফিকুল ইসলামের নাম জানা গেছে। এদিকে জেলা যুবদল সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফায়জুল মালেক সজীব, ওয়াহিদুজ্জামান সজিব, পাথরঘাটা পৌর ছত্রদল আহবায়ক সোয়ানুর রহমান সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আউয়াল হোসেন, ছাত্রদল নেতা সুজন মৃধাকে পুলিশ অনশন স্থান থেকে আটক করে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, জনগন এবং যানবাহন চলাচলের রাস্তা অবরোধ করে তারা অনশন কর্মসূচি পালন করলে, তাদের রাস্তা ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। তারা এ অনুরোধ না রেখে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করে এবং পুলিশের উপর হামলা করলে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায় বাধ্য হয়ে তাদেরকে লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এছাড়া পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ায় কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সকাল ১০ টা থেকে আমরা শান্তিপূর্ণ অনশন কর্মসূচী শুরু করি। এক পর্যায় সদর থানার দু’জন ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য বললে আমরা রাস্তার অর্থেক ছেড়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অনশন কর্মসূচি পালন করতে থাকি। হঠাৎ পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে নেতা-কর্মীদের গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। যুবদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রদল সভাপতিসহ কয়েকজন নেতা কর্মিকে পুলিশ আটক করে।