মহেড়া ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে বিভাস সরকার নূপুর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মির্জাপুর  উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মিছিল, মিটিং ও শোডাউন।

মহেড়া মহল্লায়-মহল্লায় ও হাট-বাজারের চা আড্ডা আলাপনে ভোটার, জনগণ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে সর্বত্রই চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে আলোচনার ঝড়। কে পাচ্ছেন,মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন। অবসরে, খোস-গল্পে ও চা আড্ডায় হিসাব কষছেন নেতা-কর্মী ও ভোটাররা। প্রার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনী, পারিবারিক ইতিহাস এবং রাজনৈতিক ভাবে জনপ্রিয়তাকে ঘিরে মিলাচ্ছে মনোনয়নের হিসাব।

জনমত জরিপে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে দলের আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক ৫ বারের সফল চেয়ারম্যান বিভাস সরকার (নূপুর) দুঃসময়ের কান্ডারী, যুব সমাজের আইডল, রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক, মহেড়া ইউনিয়ন আ’লীগের ত্যাগী ও জয়প্রিয় নেতা বিভাস সরকার (নূপুর)।

সৎ – বিনয়ী ও সদালাপী এই নেতা মনে করেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনা ও স্থানীয় আ’লীগ তার জীবনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সুবিবেচনা করে সৎ, যোগ্য, মেধাবী এবং দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মী হিসেবে তাকেই মনোনয়ন দিবেন ।

মনোনয়ন পেলে জনগনের ভালোবাসা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থন নিয়ে আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করে চেয়ারম্যান পদটি দলকে উপহার দিতে পারবেন বলে তার প্রত্যাশা।

তিনি আরো বলেন, আগামীতে নির্বাচিত হলে মহেড়া ইউনিয়নকে শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, বাল্য বিবাহ মুক্ত, তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও মাদকমুক্ত একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো,আমার অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করবো।

বিরোধী দল কতৃক নির্যাতিত এই নেতা মির্জাপুর  উপজেলা আ’লীগের নেতৃত্বে লগি বৈঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। ১/১১’র আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৪ সালের জামায়াত-বিএনপি’র অগ্নি সন্ত্রাস মোকাবিলায় তিনি ছিলেন রাজপথের অতন্দ্র প্রহরী। দলের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি সর্বত্র রাজপথে অটল ছিলেন।মহেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস নিজ অর্থায়নে তৈরি করে দেন।

বিপ্লবী, সময় উপযোগী ও সাহসী এই নেতা বিভাস সরকার নূপুর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবে ইউনিয়নের প্রতিটি মহল্লার মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নে তার রয়েছে ব্যাপক অবদান। তিনি আশা করেন আগামী নির্বাচনে তার যোগ্যতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দলীয় কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অবহেলিত জনপদের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করার জন্য চেয়ারম্যান পদে দল তাকেই মনোনয়ন দেবেন।

বিভাস সরকার নূপুর তার দল আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং ইউনিয়নবাসির দোয়া, সাহায্য, সহযোগিতা এবং সমর্থন প্রত্যাশা করে বলেন,গত নির্বাচনে আমাকে দল মনোনয়ন দিয়েছিল। দলের বিতর্কিত নেতা আওলাদ হোসেনের ভাই বিদ্রোহী প্রার্থী বাদশা মিয়া নির্বাচিত হয়। আওয়াদ হোসেন গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচন করেছে, নৌকার বিরুদ্ধে নানা বাজে কথা বলছে। সে নিজেই এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই তাকে মনোয়নের ব্যাপারে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলেন সে যেন কোন ভাবেই মনোনয়ন না পায়।

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে সবাইকে সাথে নিয়ে মহেড়া ইউনিয়নকে জেলার অন্যতম মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান তিনি।

আরিফুল/টাঙ্গাইল

Print Friendly

Related Posts