ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় শুটকি পল্লীগুলোতে শুটকি উৎপাদনে এলাকা সরগরম। এ মৌসুমে এখানে প্রচুর পরিমানে শুটকি উৎপাদন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নিদ্রা, ফকিরহাট, নিশানবাড়িয়া এলাকায় শুটকি উৎপাদনের আয়োজন চলছে। শুটকি শুকানোর জন্য বিশাল মাঠ জুড়ে জেলেরা মাচা তৈরী করে নারী-পুরুষ সবাই মিলে কাজ করছে। অনেক স্থানে পুরো দমে শুরু হয়েছে শুটকি উৎপাদনের কাজ।
জানা যায়, নভেম্বর থেকে মার্চ এপ্রিল পর্যন্ত শুটকি উৎপাদনের উপযুক্ত মৌসুম। এ সময় পায়রা নদী ও সমুদ্র থেকে আহরণ করা হবে টনকে টন মৎস্য। শুটকির প্রধান উৎস হলো সমুদ্র থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য আহরন করে রোদের তাপে শুটকিতে রুপান্তরিত করা। জানা যায়, প্রতি বছর বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলেরা শুটকি ব্যবসার জন্য তালতলীর ফকিরহাট, নিদ্রা ও নিশানবাড়িয়া এলাকায় আসেন। শুটকির জন্য প্রসিদ্ধ মাছ হলো লইট্যা, ছুরি, ফাইস্যা, পোয়া, রুপচাঁদা, লাক্ষা, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
শুটকি উৎপাদনকারী জেলেরা জানান, তারা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। পুঁজির অভাব, দাদনদারের শোষণ, সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, শুটকির ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব। অন্যদিকে শুটকি উৎপাদনের জন্য নেই কোন সরকারী নীতিমালা, মনিটরিং, প্রশিক্ষন ও আধুনিক ব্যবস্থা। তাই দিন দিন এ শিল্পের উন্নতি হলেও আধুনিক এবং মানসম্মত পদ্ধতি কোন উৎপাদকেরা গ্রহন করছেননা। শুটকি শিল্পে বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও এর সাথে জড়িত বিশাল জনগোষ্ঠি মনে করেন যে, এ মৌসুম তাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ।
তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, শুটকি উৎপাদনকারী বিশাল জনগোষ্ঠি তাদের জীবিকা নির্বাহ করে এই শুটকি উৎপাদনে। অতএব তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।