পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দলের সঙ্গে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে করছেন প্রচুর রান। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হচ্ছিল না। তিন সংস্করণেই দলের সঙ্গে থাকার অভিজ্ঞতা হয়ে যাওয়া ইয়াসির আলি চৌধুরি অবশেষে পেলেন সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ। ঘরের মাঠে অভিষেক হচ্ছে চট্টগ্রামের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
হুট করে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়ে ভালো করতে না পারা সাইফ হাসানের টেস্টে খেলা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন তিনি। মাহমুদুল হাসানের জায়গা হয়নি একাদশে।
দুই পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। স্পিনে তাইজুল ইসলামের সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ। পেস বোলিংয়ে আবু জায়েদ চৌধুরির সঙ্গী ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলি, আজহার আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নোমান আলি, হাসান আলি, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সাজিদ খান।
ট-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুই মেরুতে থাকা এমন দুটি দল এবার মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণের লড়াইয়ে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের পথচলা। পাকিস্তানের যা এই চক্রের দ্বিতীয় সিরিজ। চট্টগ্রামে খেলা শুরু সকাল ১০টায়।
নিজেদের সবশেষ টেস্টে দুই দলেরই প্রাপ্তি ছিল দারুণ জয়। অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্ট হারার পর দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের জয়টি ছিল জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে। তবে প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল হলেও খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো জয়টি ছিল স্মরণীয়।
টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড। সব মিলিয়ে ওই সংস্করণে বাজে সময় কাটানো বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি হয়ে এসেছে সংস্করণে বদল। পয়মন্ত চট্টগ্রামে নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে তারা।