লিটন-মুশফিকে স্বপ্নময় একটি দিন

দিনের খেলা শেষ হতেই বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে সিড়িতে আর পথে। লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষা। তবে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন মাঠেই যথেষ্ট পেয়ে গেলেন তারা। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মুগ্ধতা প্রকাশ পেল করতালিতে। হাসান আলি গিয়ে আলিঙ্গনে জড়ালেন লিটনকে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে এমন বাহবা আর সম্মান আদায় করে নেওয়াই বলে দেয়, এটা বিশেষ কিছু!

বিশেষ তো বটেই। দিনের শুরুটা যেমন ছিল, তাতে শেষবেলার এমন ছবি অভাবনীয় কিছুও। প্রথম সেশনে ৪৯ রানে প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলা দল দিন শেষ করবে ওই ৪ উইকেটেই আড়াইশ ছাড়িয়ে, কজন ভাবতে পেরেছিলেন!

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২৫৩। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয় ৫ ওভার আগে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক দুঃসময় আর এই ম্যাচের শুরুর বিপর্যয় মাথায় রাখলে বলতে হবে, স্বপ্নময় একটি দিন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। ৪৯ রানে প্রথম সারির ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা। সকালের এমন স্কোর দেখে অনেকেই মনে করেছেন হয়তো একশ রানের আগেই অলআউট হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ দল।

দলের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ধরেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকু রহিম ও লিটন কুমার দাস। ছয়ে ব্যাটিংয়ে নামা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মুশফিক। তাদের এই জুটিতেই শুরুর হতাশা কাটিয়ে ভালোভাবে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।

প্রথম সেশনে পঞ্চাশের আগেই ৪ ব্যাটারকে হারানো বাংলাদেশ পরের দুই সেশন কাটাল উইকেটহীন। তাতে নির্ভার থেকেই চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন শেষ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি স্বাগতিকদের দিচ্ছে বড় সংগ্রহের আশা।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান তুলে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) প্রথমদিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। পড়ন্ত বিকেলে ফ্লাডলাইটের আলোতে কিছুক্ষণ খেলা হলেও পুরো ৯০ ওভার গড়ায়নি।

৫ ওভার আগেই শেষ হয় দিনের খেলা। শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট আগে, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে।

এই জুটির পর বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার আছেন ইয়াসির আলি রাব্বি ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ইয়াসিরের চলতি টেস্টেই অভিষেক হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ সিরিজে এই মাঠে সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ।

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটে মিরাজের কাছ থেকেও রান প্রত্যাশা করা যেতে পারে। একাদশে শুধুই বোলারের ভূমিকায় থাকা তিনজন হলেন তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেন।

সকালের প্রথমঘণ্টা ছাড়া সাগরিকায় বোলারদের সুবিধা পেতে দেখা যায়নি। উইকেটে হালকা ঘাস থাকলেও সেটি ব্যাটারদের জন্য হুমকি হতে পারেনি। শুরুতে পাকিস্তান বোলাররা বাংলাদেশকে চাপে রাখে। পরে আর সুবিধা করতে পারেনি।

Print Friendly

Related Posts