ভোট দিয়ে আনন্দে আত্মহারা বেদে কন্যারা

আল আমিন, সুনামগঞ্জ: জীবনের প্রথম ভোট দিয়ে আনন্দে বিভোর হয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরেছেন বেদে কন্যা মাজেদা আক্তার রেশমি (১৯)।

রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের সোনাপুর বেদে পল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন তিনি।

এসময় বেদে কন্যা রেশমি বলেন, বেদেরা সাধারণত নৌকায় জীবন কাটায়। আমরার বাপ-কাহারাও ( (বাবা-চাচা) ভাসমান ছিলেন। কিন্তু এখন আমাদের জীবনমান বদলে গেছে। আমাদের সোনাপুর বেদে পল্লীর লোকদের নিজের পরিচয়ের পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদায় বসবাস করতে পারছি।

তিনি বলেন, আগে জানতাম বেদেরা কখনো ভোট দিতে পারতো না। এখন এখানে আমরা ভোট দিতে পারছি। আজকে নতুন ভোট দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। জীবনের নতুন ভোটার হয়ে ভোট দিতে পেরে খুব খুশি লাগছে।

রেশমি সোনারপুর বেদে পল্লীর সর্দার মানিক মিয়ার কন্যা।

একইভাবে প্রথম ভোট দিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা আরেক বেদে কন্যা সালমা বেগমসহ অনেকে।

সোনাপুর বেদে পল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অশোক কুমার পাল বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনসহ সকল ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে আনন্দ দেখা গেছে। এখানে মোট ভোটার ১৭শ ৪৭টি। সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ৭০০ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের উপস্থিতি ভালো।

সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট গ্রহন চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

চেয়ারম্যান পদে ১০৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭৪২ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ২২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ৮৪টি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র ৭৮টি। তবে এখনো সুনামগঞ্জে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম ও গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে কাজ করছেন।

Print Friendly

Related Posts