জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর পেট্রোলিয়াম এ্যাক্ট ২০১৬ আইনে সরকারি বিধি বহির্ভূত অবৈধ এই পেট্রোল পাম্পের মালিক গোলাম মাওলাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরপরেও আদালতের এ রায়কে কাঁচকলা দেখিয়ে অবৈধভাবে দিনের পর দিন মেশিনের সাহায্যে জ্বালানি তেল বিক্রি করে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে আসছেন।
আপনার লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে ফামিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম মাওলা জানান, হ্যাঁ আমার লাইসেন্স আছে কিন্তু আমি ট্যাংকিতে তেল মজুদ রেখে বিক্রি করিনা।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি অসিম কুমার দাস বলেন, কিছুদিন আগে ওই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে পরবর্তীতে তার লাইসেন্স বাতিল করেছে বরিশাল বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদপ্তর। এর পরেও লাইসেন্সবিহীন ওই প্রতিষ্ঠান কিভাবে চলমান আছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। তাছাড়া একটি পেট্রোল পাম্প করতে হলে তার নিজস্ব জমির মালিকানা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ফামিম ট্রেডার্স সরকারী জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।
মুঠোফোনে, বরিশাল বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ফামিম ট্রেডার্সের লাইসেন্স বাতিল করে প্রশাসন এবং থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এখন থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে শুধু পেট্রোল বিক্রি নয় মজুদও রাখার অধিকার তারা রাখেন না। আপনারা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করুন, তারা এই অবৈধ কার্যক্রমের আইনি ব্যবস্থা নিবেন।
ইশা/বর