পিএসজির জার্সিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিবর্ণ দিনটা কাটাচ্ছিলেন মেসি। তবু ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে মাত্র তিনটি মুহূর্তই লাগল তাঁর।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে সেঁত এতিয়েনের ডি-বক্সের বাইরে বলের দখল প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন মেসি। তবু কীভাবে যেন বলটা আবার নিয়ন্ত্রণে নিলেন। পায়ের বাইরের দিক ব্যবহার করে থ্রু বাড়ালেন আনহেল দি মারিয়ার দিকে। তাতেই পুরো রক্ষণ ফাঁকা হয়ে গেল এতিয়েনের। অনেক সময় নিয়ে বল জালে পাঠালেন দি মারিয়া। ২-১ গোলে এগিয়ে গেল পিএসজি।
যোগ করা সময়ে আবারও মেসির জাদু। তার ক্রস থেকে হেডে গোল করলেন মারকিনিওস। মেসির গোল সহায়তার হ্যাটট্রিকে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরল পিএসজি।
সেঁত এতিয়েন ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের জন্ম দিয়েছিলেন সের্হিও রামোস। দলবদলের বাজারে একসঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার অধিনায়ককে টেনে আনার কীর্তি দেখিয়েছে পিএসজি। বার্সার সাবেক অধিনায়ক এরই মধ্যে বহু ম্যাচ খেলেছেন, দলকে জেতানোর কাজও সেরে ফেলেছেন। কিন্তু মেসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো একই একাদশে থাকার কাজটা করা হচ্ছিল না রামোসের। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চোটে ভুগছেন তিনি। আজই প্রথম মাঠে নামলেন, মূল একাদশেই।
তবে রামোস নয়, ম্যাচের কেন্দ্রে রইলেন মেসিই। মেসির সহযোগিতায় দলকে রক্ষা করলেন রক্ষণে রামোসের সঙ্গী মারকিনিওস। ২৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল পিএসজি। চমৎকার এক গোল করছিলেন ডেনিস বুয়াঙ্গা। জবাবে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছিলেন এতিয়েন গোলরক্ষক এতিয়েন গ্রিন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর পারলেন না। ৪৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন টিমোতি কোলোজেজাক। মেসির নিখুঁত ফ্রি–কিক থেকে হেড করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন পিএসজি অধিনায়ক।