মেসির হাতেই ব্যালন ডি’অর, এই নিয়ে সাতবার

প্যারিসের থিয়েখ দু শাতেলে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানেও বিষ্ময় ধরে রাখলেন লিওনেল মেসি; সপ্তমবারের মতো জিতলেন ব্যালন ডি’অর!

ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেওয়া গত বছরের সেরা খেলোয়াড়ের এ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন পিএসজির আর্জেন্টাইন এ তারকা। রবার্ট লেভানডফস্কি এই পুরস্কার জয়ে ছিলেন মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে লেফানডভস্কিকে হারিয়ে নিজের সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ডকে আরও এক ধাপ উঁচুতে নিয়ে গেলেন ৩৪ বছর বয়সী মেসি। পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জেতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবার ষষ্ঠ হয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত পাঁচজনের তালিকায় উঠে আসেন মেসি, লেভানডফস্কি, জর্জিনিও, করিম বেনজেমা ও এনগোলো কান্তে। এই পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পুরস্কারটি জিতলেন মেসি। দ্বিতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কিকে। ‍তৃতীয় চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিও।

২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত পুরস্কারটি টানা জিতেছেন মেসি। এরপর ২০১৫ ও ২০১৯ সালেও জেতেন ব্যালন ডি’অর। গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। গত মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৬০ ম্যাচে ৭৩ গোল করা লেভানডফস্কি ২০২০ সালে ফিফা ও উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন।

মেসি গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা জেতেন আর্জেন্টিনার হয়ে। দেশের হয়ে এটাই তাঁর প্রথম শিরোপা। আগস্টে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগে কাতালান ক্লাবটিকে জেতান কোপা দেল রে।

এ বছর ৪০ গোল করেছেন মেসি। এর মধ্যে ২৮ গোল বার্সার হয়ে, ৪ গোল পিএসজির হয়ে এবং ৮ গোল করেছেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে। সর্বোচ্চ ৬১৩ পয়েন্ট পেয়ে নিজের এই পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতলেন মেসি।

সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জেতা লেভা ৫৮০ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে দ্বিতীয় হন। চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইতালির হয়ে ইউরোজয়ী জর্জিনিও ৪৬০ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয়। বেনজেমা চতুর্থ এবং পঞ্চম কান্তে।

 

Print Friendly

Related Posts