কক্সবাজারের রামুতে অপহরণের শিকার হওয়া ৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে অবশেষে ৪ জনই উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পৃথক আভিযানিক দল। এ সময় অপহরণ চক্রের সদস্য ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়ার শালবন পাহাড় থেকে মোহাম্মদ কায়সার নামের এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। পরে একই পাহাড় থেকে জাহিদুল ইসলাম মামুন এবং মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। এবং র্যাব অভিযান চালিয়ে ওইদিন দিবাগত রাতে অপর ভিকটিম আরেক মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এর আগে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফে নিয়ে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। আটকরা হলেন- টেকনাফের মোচনী পাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের নুর সালাম (৫০), রনজন বিবি (১৩) ও সাদ্দাম মিয়া। তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রদের স্বজনদের বরাতে পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, রামুর পেচারদ্বীপের বাসিন্দা ও সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইব্রাহিমের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকালে রামুর পেচারদ্বীপ এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়। একপর্যায়ে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে স্কুলছাত্রদের টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে স্কুলছাত্রদের খোঁজ মিলছিল না। এরই মধ্যে বুধবার রাতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা দিতে বলে। মুক্তিপণ না দিলে স্কুলছাত্রদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। তারা রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপ এলাকায় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী।