দুর্দশায় জর্জরিত বরগুনার ৩০ ঘর বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

ইফতেখার শাহীন: বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের খাকদোন নদী পাড়ে ২০০০ সালে পূনর্বাসন করা হয় ৩০ ঘর দরীদ্র বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে।

বর্তমানে নানা দুর্দশাগ্রস্ত এই যুদ্ধাহত ৩০ ঘর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ। তাদের নামে বরাদ্দকৃত পল্লিতে বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ, বিশুদ্ধ পানির সংকট, জলাবদ্ধতা, মশা-মাছির প্রদূর্ভাব, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অতিকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এই পল্লির মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা। তাদের জন্য দেয়া হয়েছিল ৬ টি গভীর নলকূপ  ও একটি ড্রেন। তবে সময়ের ব্যবধানে অকেজো হয়েছে সবকটি নলকূপ এবং ময়লা আবর্জনার নীচে চাপা পড়েছে ড্রেনটি। নেই পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়তে হয় এখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের।

এছাড়া মশার উপদ্রপ, ভাঙ্গা রাস্তা ও বেড়িবাঁধ না থাকায় সমস্যায় রয়েছেন এই ৩০ টি পরিবার। দুর্দশায় জর্জরিত এ সকল পরিবার জানান, শত চেষ্টা করেও সমাধান পাননি তারা এ সমস্যাগুলোর। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম জানান, এখানে বসবাসরত আমরা যে কতটা কষ্টে জীবনযাপন করছি তা বাহিরের কেউ বুঝবেনা। বেড়ীবাঁধ না থাকায় স্বভাবিক জোয়ারেও  পল্লীর ভেতরের রাস্তাঘাট পনিতে তলিয়ে ঘরের মেঝেতে হাঁটু সমান পানি জমে। এই ৩০ পরিবারের জন্য একটি মাত্র নলকূপ।  সেই নলকূপটিও ময়লা পানিতে ডুবে যায় এবং পানির সাথে ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক জানান, আমাদের ড্রেনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। জেলা উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি জানানোর পরেও  এর কোন সুরাহা হয়নি।

এ ব্যাপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অতিসত্বর মুক্তিযোদ্ধা পল্লি পরিদর্শন করে বসবাসরত বাসিন্দাদের দুর্দশা নিরসনের ব্যবস্থা করা হবে।

Print Friendly

Related Posts