নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পৌষের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে বেলা গড়িয়ে দেখা মিলছে সূর্যের। দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও খুব একটা উষ্ণতা মিলছে না।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ মাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়েই এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার বার্তাই দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। যেটা মাসজুড়েই চলে। এখন দিনের বেলা কখনো রৌদ্রজ্জ্বল কখনো কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলবে না। রাজশাহীতে মাসজুড়েই এই মৃদু শৈতপ্রবাহ থাকবে।
এদিকে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরাও। সকালের ঘন কুয়াশায় পরিবহন চলাচলেও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে দেখা গেছে চালকদের। সারাদিনই শীতের পোশাক পড়ে রাস্তায় চলাফেরা করছেন মানুষ। চর এলাকায় শীতের তীব্রতা শহরের চেয়ে বেশি। এসব এলাকার মাঠঘাটে কাজ করা মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। গ্রামের অনেক জায়গায় খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতেও দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে অটোরিকশা চালক শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি খুব ভোরে সবজি নিয়ে বাজারে এসেছিলেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিন খুব বেশিই শীত পড়েছে। শীতের পোশাক ছিলো। তারপরও কাঁপুনি দিয়ে ঠাণ্ডা লাগছিলো। আর রাতেও খুব ঠাণ্ডা পড়ছে।
করোনাকালীন শীতজনিত শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধে অগ্রিম সচেতনতার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুল আলম বাদশা বলেন, শীতকালে আমাদের একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি কেয়ার রাখতে হবে। কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেশ শামীম ইয়াজদানী জানান, শীতকালীন সমস্যা নিয়ে এখনো রোগী বাড়েনি। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে হয়তো কিছু বাড়তে পারে। তবে তারা অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।