এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে নিপ্রো জেএমআই ফার্মার বৈজ্ঞানিক কর্মশালা

এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর রেজিস্ট্যান্স নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও এর ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক বৈজ্ঞানিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

নিপ্রো জেএমআই ফার্মার সহযোগিতায় উক্ত কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমসিএইচ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমসিএইচ’র উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, মাইক্রোবায়োলোজি’র বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম সামসুজ্জামান এবং ফার্মাকোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অধীর কুমার দাস।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ গোলাম মগনী মাওলা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উপর জোর দেন।

কর্মশালায় মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী চিকিৎকরা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও এর সচেতনতা নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগীতা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং জনস্বার্থের জন্য গুরত্বপূর্ণ সচেতনতামূলক শ্লোগান উপস্থাপন করেন।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বিবেচনায় নির্বাচিত সেরা ৫টি শ্লোগান হল- “প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক, বিপদ আনবে সাংঘাতিক”, “বাঁচার জন্য দরকার, এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার”, “ঠেকাতে হলে মহাবিপর্যয়, করতে হবে এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চয়ই”, “প্রয়োজনেই নিলে ঠিক, জীবন বাঁচায় এন্টিবায়োটিক”, “এন্টিবায়োটিক খাবো না যথাতথা, বাড়াবো এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা”।

অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য বিশেষজ্ঞরা এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে আরো সতর্ক হবার জন্য পরামর্শ দেন।

Print Friendly

Related Posts