ধামরাই প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে বালিথা এ কে এইচ ইকো এ্যাপারলেস পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মালিক পক্ষ সব সময় সচেতন। শ্রমিক যদি সুস্থ্য থাকে তাহলে তার কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন এ কে এইচ গ্রুপের ডি এমডি মো. আবুল কাশেম। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তিনি তাদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের সুব্যবস্থা রেখেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বালিথা কারখানার ভিতরে বিজিএমই এর উদ্যোগে প্রায় এক হাজার শ্রমিকদের বিনামূল্য যক্ষ্মা পরীক্ষা করানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মো. তানভীর কাশেম পরিচালক এ কে এইচ ইকো এ্যাপারলেস লিমিটেড, মো. মিল্টন চৌধুরী (নির্বাহী পরিচালক), মো. মাসুদুর রহমান কমপ্লায়েন্স (ম্যানেজার), ডা. শারমিন আফরোজ শমী প্রমুখ।
এছাড়াও এ কে এইচ ইকো এ্যাপারলেস একটি পরিবেশ বান্ধব গ্রীণ কারখানা। নারী শ্রমিকদের মাতৃকালীন ছুটি ও মাতৃকালীন সুবিধা দেওয়া হয়। শ্রমিকদের জন্য বিনোদন ও খেলাধুলার সুব্যবস্থা রয়েছে। দুই ঈদে শ্রমিকদের ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। প্রতিবন্ধী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন তারা। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মাক্স ও স্যানেটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও সকল শ্রমিকদের কভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ওই কারখানার ভিতরে সবসময়ের জন্য দুইজন এমবিবিএস ডাক্তার রয়েছে।
ধামরাই বালিথা এ কে এইচ ইকো এ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিক জরিনা আক্তার, শিউলী, শারমিন, সাইফুল, মানিক এরা বলেন, আমাদের মাতৃকালীন ছুটিসহ সবধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় কারখানার কর্তৃপক্ষ তদারকি করে থাকেন। এছাড়াও সময় মত বেতন ও ওভারটাইম এবং ঈদ বোনাস দিয়ে থাকেন। আমাদের যাতায়াতের জন্য বাসও রয়েছে। এই কারখানায় চাকরি করে আমরা খুব খুশি। তারা মালিকের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
এবিষয়ে এ কে এইচ ইকো এ্যাপারেলস পোশাক কারখানার পরিচালক তানভীর কাশেম বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আমরা দিয়ে থাকি। শ্রমিকরা যদি সুস্থ না থাকে তা হলে কাজ করবে কি ভাবে। তাছাড়া আমাদের কারখানা পরিবেশ বান্ধব গ্রীণ কারখানা।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের অফিসে আসার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবধরনের সুযোগ সুবিধা আমরা দেখি। ফলে তারাও মনযোগ দিয়ে কাজ করে থাকে।
রাসেল/ধামরাই