খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বরিশালে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সহযোগীরা। এসময় পুলিশের ওয়্যারলেসও নিয়ে যায়। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ আসামি শহিদুল ইসলামসহ ৫ জনকে ফের নগরীর ভাটারখাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করাসহ ওয়্যারলেস উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের ছিল গলদগর্ম অবস্থা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর স্পিডবোট ঘাট এলাকায় থেকে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্তর নেতৃত্বাধীন একটি টিম। এসময় স্থানীয় ৫০ থেকে ৬০ যুবক পুলিশকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং শহিদুলকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ রাখে। কিন্তু ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় শহিদুলকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই- জানিয়ে দেওয়া হলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং তাদের ওপর হামলার চেষ্টাও চালানো হয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ওই যুবকদের ওপর লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। পরবর্তীতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ভোর ৮টার দিকে ভাটারখাল কলোনী থেকে ফের শহিদুলকে হাতকড়াসহ পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তারেক শাহ্ , মো. অলি,পারভেজ, স্বপন, পারুলসহ আরো ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ। সেই সাথে পুলিশের ওয়্যারলেসটিও উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম সম্প্রতি স্থানীয় একজন মাহিন্দ্রা চালককে কুপিয়ে জখম করেন। সেই ঘটনায় একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেয় কোতয়ালি পুলিশ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ‘শহিদুল নামের যে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাকেসহ আরো ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার ৪ ঘণ্টার মাথায় সোমবার রাত ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতকড়াসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং আসামিকে যারা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে ।