সিলেটকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু করল কুমিল্লা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে একশর কম পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করল সিলেট সানরাইজার্স।
৯৭ রানের ছোট লক্ষ্যে তাড়ায় বেশ বেগে পেতে হয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দলটিকে। সিলেটের পেসার কেসরিক উইলিয়ামসের দুটি ওয়াইড ডেলিভারি সহজ করে দেয় কুমিল্লার পথ। ৮ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় দলটি।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুরের ম্যাচে কুমিল্লাকে মাত্র ৯৭ রানের লক্ষ্য দিতে পারে সিলেট। ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। তাতে জমে ওঠে ম্যাচটি। স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করতে পারার স্বাস্তনা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মোসাদ্দেক-তাসকিনদের সিলেট।
কুমিল্লার দুই বিদেশি তারকা ওপেনার ফাফ দু প্লেসিস ও ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে আটকে রাখেন সিলেট বোলাররা। প্লেসিস ২ ও ডেলপোর্ট ১৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। দুই ওপেনারকেই ফেরান অফস্পিনার সোহাগ গাজী। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি।
৫৫ তে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেট জুটি পথ দেখায় কুমিল্লাকে। করিম জানাত ও নাহিদুল ইসলামের ২৭ রানে জুটি দলকে নিয়ে জয়ের কাছে। জান্নাত ১৮ রান করে আউট তাসকিন আহমেদের বলে। নাজমুল ইসলামের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাহিদুল (১৬)। দুই সেট ব্যাটার সাজঘরে ফিরিয়ে আশা জাগায় সিলেট।
৮৮ রানে ৮ উইকেট হারালে কুমিল্লার জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৯*) ও তানভির ইসলামের (৩*) সাবধানী ব্যাটিং এনে দেয় রোমাঞ্চকর জয়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট সানরাইজার্স অলআউট হয় মাত্র ৯৬ রানে। শুরু থেকেই দাপুটে বোলিং করেন কুমিল্লার বোলাররা। ব্যক্তিগত ৩ রানে এনামুল হক বিজয়ের উইকেটটি তুলে নিয়ে প্রথম আঘাত হানেন ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল হক।
সর্বোচ্চ ২০ রান করা সাউথ আফ্রিকান কলিন ইনগ্রামকে সাজঘরে ফেরান তরুন পেসার শহিদুল ইসলাম। এরপর চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল। মমিনুলের বলে ডু প্লেসিসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হল রবি বোপারা। মাত্র ৩ রানে তানভীর ইসলামের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
মুক্তার আলীকে বোল্ড করে এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাসকিনকে করিম জান্নাতের ক্যাচে পরিনত করে ইনিংসের ইতি টানেন শহিদুল ইসলাম।
কুমিল্লার হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল, মুস্তাফিজ ও শহিদুল। মমিনুল হক, তানভীর ও করিম পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।