তামিম ইকবালের দুইয়ে দুই। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৫০ রান। ছন্দটা ধরে রেখে শনিবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে করলেন ৫২। এর পরও টানা দুই ম্যাচে হারল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।
ভালো শুরু করেও তারুণনির্ভর চট্টগ্রামের ১৬১ রানের জবাবে অভিজ্ঞ ও তারায় ঠাসা ঢাকা অল আউট ১৩১-এ। চট্টগ্রামের ৩০ রানের জয়ের দুই নায়ক শরীফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। শরীফুল ৪ ও নাসুম নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার নাসুমের।
একটা পর্যায়ে এক উইকেটে ৭৩ রান করেছিল ঢাকা। ১২তম ওভারে আক্রমণে এসে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন শরীফুল। এই পেসারের বলের লাইন মিস করে দ্বিতীয় বলে বোল্ড তামিম ইকবাল। ৪৫ বলে ছয় বাউন্ডারি দুই ছক্কায় ৫২ করেন এই ওপেনার। এই ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের দুই হাজার ২৮০ রানের রেকর্ড ভেঙে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান এখন তামিমের। সেই ওভারের চতুর্থ বলে জহুরুল ইসলামকেও ফেরান শরীফুল। এরপর শুরু বাঁহাতি স্পিনার নাসুমের ঘূর্ণিজাদু। ১৪তম ওভারে নাসুম ফেরান মোহাম্মদ নাঈম ও মাহমুদ উল্লাহকে।
ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে শামীম হোসেনের তালুবন্দি পাঁচ রান করা ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদ। ঢাকার শেষ আশা হয়ে তখন ক্রিজে আন্দ্রে রাসেল। ১৫তম ওভারে শরীফুলের শেষ দুই বলে ছক্কা ও বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। তবে নাসুমের বল অনসাইডে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এই ক্যারিবীয়। স্নায়ুর চাপে না ভুগে শামীম তালুবন্দি করেন সেটা। ১০ বলে ১২ করে রাসেল ফেরার পরই শেষ হয়ে যায় ম্যাচের উত্তেজনা। ১৩১ রানে অল আউট হয়ে ঢাকা হারে ৩০ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা নড়বড়ে ছিল চট্টগ্রামের। ক্যারিবীয় ওপেনার কেনার লুইস ৯ বলে ফেরেন ২ রানে। ইংল্যান্ডের ওপেনার উইল জ্যাকস অবশ্য স্বাচ্ছন্দ্য শুরু থেকে। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে বড় অবদান তাঁরই। ২৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। আফিফ একটা ছক্কা মারলেও ১২ বলে ফেরেন ১২ রানে।
নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সাব্বির রহমান মিডল অর্ডারে ভরসা দিয়েছেন চট্টগ্রামকে। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় করেন ২৯। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হলে শেষ হয় কার্যকর ইনিংসটি।
বরিশালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফরাসি সৌরভ ছড়িয়েছিলেন বেনি হাওয়েল। ফ্রান্সের এই ব্যাটার করেছিলেন ২০ বলে ৪১। গতকালও উজ্জ্বল হাওয়েল। ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। হাওয়েল ঝড়েই শেষ পাঁচ ওভারে ৪৩ রান তোলে চট্টগ্রাম। রান উৎসবের ইনিংসেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন। এই পেসার ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ঝড়টা বেশি গেছে আন্দ্রে রাসেলের ওপর দিয়ে। একটাই ওভার করা ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডারের খরচ ১৭ রান। ঢাকার আরেক বিদেশি পেসার ইসুরু উদানা ৪ ওভারে ৩৯ রানে নেন ১ উইকেট।
চট্টগ্রাম : ২০ ওভারে ১৬১/৮
ঢাকা : ১৯.৫ ওভারে ১৩১/১০
ফল : চট্টগ্রাম ৩০ রানে জয়ী