ঢাকার প্রথম জয়

ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে প্রথম পয়েন্ট পেল মিনিস্টার ঢাকা। ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট লড়াইয়ে ফেরায়। শেষে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ঝড় তুললে ১৫ বল আগেই পৌঁছায় জয়ের বন্দরে।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপাকে পড়ে ঢাকা। দলীয় সংগ্রহ দুই অঙ্ক ছুঁতেই চার ব্যাটার ফিরে যান সাজঘরে। শুভাগত হোমকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ।

২৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে বিচ্ছিন্ন হন শুভাগত। রাসেল নেমে সময় নেননি। তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে সহজ হয়ে যায় জয়ের পথ। জয় থেকে যখন ১ রান দূরে, কাভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ঢাকার অধিনায়ক ৪৭ বলে করেন ৪৭ রান।

তরুণ বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম ও আলঝারি জোসেফ নেন দুটি করে উইকেট। সাকিব আল হাসান ও ডোয়াইন ব্রাভো নেন একটি করে উইকেট।

টানা দুই ম্যাচ হারের পর জিতল ঢাকা। বরিশাল জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করে। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রিস গেইলকে নামিয়েও হারতে হল তাদের।

মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল ২১ রানের ওপেনিং জুটি পায়। পরে ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। শুভাগতকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত লং-অফে থাকা নাঈমের উড়ন্ত ক্যাচ হন, ৫ রানে থামেন।

পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন আরেক ওপেনার সৈকত আলী। এক চার ও এক ছক্কার মারে ১৫ রান করে যান। হাসান মুরাদের বলে এগিয়ে মারতে গিয়ে লং-অফে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন। পরের ওভারেই আন্দ্রে রাসেলের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন রান না পাওয়া তৌহিদ হৃদয়।

চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইল ৩৭ রান তুলে ধাক্কা সামালের চেষ্টা করেন। একাদশ ওভারে রুবেল হোসেনের বাউন্সারে কাট করতে গিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনেন সাকিব। ১৯ বলে ২ চার ও এক ছক্কার মারে ২৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।

পরের ওভারে নুরুল হাসান সোহানের উইকেট পান অধিনায়ক রিয়াদ। এক রান করা সোহান স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে জহুরুলের হাতে ধরা পড়েন। বরিশালের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৬১ রান।

ষষ্ঠ উইকেটে স্বদেশি ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন গেইল। ৩৩ রানের জুটি গড়েন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৬ রান করে সাজঘরে হাঁটা দেন। ইসুরু উদানার বলে স্লগ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে রিয়াদের ক্যাচ হন।

সুবিধা করতে পারেননি জিয়াউর রহমানও। উদানার বলে পুল খেলে আরাফাত সানির হাতে ধরা পড়েন। এক রানে আটকে যান।

দলকে টানার চেষ্টা করেছিলেন ব্রাভো। ২৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই বলে এক চারে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম। শেষঅবধি ৮ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিবের দল।

Print Friendly

Related Posts