নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর বাড়ির চালের ড্রাম থেকে সানজিদা নামে চার বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।সানজিদাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সানজিদাকে বাড়ির পাশের দোকানে নিয়ে খাবার কিনে দেন সোহেল হোসেন। এরপর বাড়িতে দিয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সানজিদা। পরিবারের সদস্যরাসহ প্রতিবেশীরা সারাদিন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। এমনকি পুকুরে জাল ফেলেও খোঁজ করা হয় তাকে। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পরে যশোর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন সোহেল হোসেন। ওই জিডির কপি নিয়ে মেয়েকে উদ্ধারের আশায় সোহেল ও তার স্ত্রী ডিবি অফিসে যান। এরপর ডিবি পুলিশ প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা বেগমের চালের ড্রাম থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে একমাত্র মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন মা শরিফা খাতুন। এসময় তিনি মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দাবি করেন।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, তদন্তের একপর্যায়ে আঞ্জুয়ারা বেগমের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সানজিদাকে হত্যা করে নিজ ঘরের চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। এরপর শনিবার রাতে আঞ্জুয়ারার বাড়িতে গিয়ে চালের ড্রাম থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আঞ্জুয়ারা হত্যা সম্পর্কে একেক সময় এক এক রকম কথা বলছেন। ফলে হত্যার মূল কারণ এখনো উদঘাটন সম্ভব হয়নি। তবে আঞ্জুয়ারা জানিয়েছে, তার চালের ড্রামে চাল ছিল না। লাশ গোপন করার জন্য তিনি প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করে আনেন। এরপর তা লাশের উপরে ছিটিয়ে দেন।