গাজীপুরের কালীগঞ্জে নাম না জানা হিসেবে যে যুবকের লাশের তিন অংশ (দুই হাত ও কোমর থেকে উরু) উদ্ধার করা হয়েছিল, ওই লাশের আরো বাকি আরও চার টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এখন পর্যন্ত লাশের সাত টুকরো উদ্ধার হলো। পাশাপাশি নিহত যুবকের পরিচয়ও শনাক্ত করেছে তারা।
নিহত যুবকের নাম সবুজ বার্নাড ঘোষাল। তিনি নাগরী ইউনিয়নের পানজোড়া গ্রামের অমূল্য বার্নাড ঘোষালের ছেলে। পানজোড়া এলাকার পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার ভাড়া বাড়ির সামনে থেকে সবুজের শরীরের তিনটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সবুজের শরীরের আরো ৪ টুকরো উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো পায়ের এক অংশের সন্ধান মেলেনি। উদ্ধারকৃত প্রতিটি টুকরোর দূরত্ব ছিলো কমপক্ষে আধা কিলোমিটার। শরীরের কাটা অংশগুলোর কোনটা পুকুর পাড়ে, আবার কোনটি ঝোপঝাড়ে পাওয়া যায়। বিকেলে মুখমন্ডল উদ্ধারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পরিবার।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মাদ ছানোয়ার হোসেন জানান, খন্ডিত লাশের একাধিক টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের বাবা অমূল্য বার্নাড ঘোষাল জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে ৪টা ৬ মিনিটে সবুজ পূর্বাচল অ্যাপারেল লিমিটেড পোশাক কারখানা থেকে বের হয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (ডিডি নম্বর ১৩৭৪) করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে স্থানীয়রা ওই কারখানা সংলগ্ন সাবেক ইউপি সদস্য মানিক মেম্বারের ভাড়া বাড়ির সামনে একটি ডোবায় লাশের কাটা অংশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের কোমরের নিচের অংশ, দুই হাত উদ্ধার করে। পরে দিনব্যাপী এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে একে একে আরো চার টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে মাথা, কোমর ও এক পায়ের দুই টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মরদেহের ৭টি টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো এক পায়ের সন্ধান মেলেনি।
তারা আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে সবুজকে অন্য কোনো স্থানে হত্যার পর টুকরা করা হয়েছে। পরে তার লাশের ওই অংশগুলো বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।