জ ই বুলবুল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী রবিউলের বানানো বিমান এখন আকাশে উড়ছে। রবিউলের আবিস্কারিত বিমান প্রায় ৫০০ কি.মি. পর্যন্ত কন্ট্রোল রাখা সম্ভব। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজ মিস্ত্রি’র ছেলে রবিউল চালকবিহীন বিমান উড়িয়ে সবার নজর কেড়েছেন। মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া রবিউল নিজের তৈরি চালকবিহীন বিমান দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের মুক্ত আকাশে। তার আবিস্কার দেখতে রীতিমত ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের রাজ মিস্ত্রি মো. নাজু মিয়ার ছেলে রবিউল (১৫) মাত্র ২ দিনে তৈরি করেছেন একটি চালকবিহীন বিমান। তার উদ্ভাবিত বিমানটির অবকাঠামো ককশিটের তৈরি হলেও রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে অনায়াসে ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে তার দাবি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিরামপুর গ্রামের উত্তর পাশে নবীনগর টু রাধিকা সড়কে চালকবিহীন বিমান উড়াচ্ছেন রবিউল। আর তা উপভোগ করছেন শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী লোকজন। বিরামপুর গ্রামের উজ্জল বলেন, তার বাবা রাজ মিস্ত্রির কাজ করেন। রবিউল ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন জিনিস আবিস্কার করেছে। তার আর্থিক অবস্থা খুব দুর্বল, কারো সহযোগিতা বা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অবশ্যই ভালো কিছু করবে সে।একই গ্রামের বাসিন্দা একজন বৃদ্ধা বলেন, ছেলেটি মেধাবী। তাকে উৎসাহ ও অনুপ্রাণিত করা উচিৎ। সরকারী সহায়তা পেলে হয়ত আরও ভালো কিছু করতে পারেন।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী রবিউল বলে, সবসময় ব্যতিক্রম কিছু করার ভাবনা মাথায় আসে। ব্যতিক্রম কিছু করার চিন্তা থাকলেও অর্থের অভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছিনা। দুই দিনে চালক বিহীন বিমানটি তৈরি করেছি। বিমানটি তৈরি করতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। একবার চার্জ করলে দীর্ঘক্ষণ উড়তে পারে অনায়াসে ভূমি থেকে কিংবা হাতে নিয়েও উড়ানো যায়। রিমোটের সাহায্যে প্রায় ৫০০ মিটার দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় এটি তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে!
রবিউল আরো বলে, কৃষকদের জন্য একটি ড্রোন বানাতে চাই, সেই ড্রোনের মাধ্যমে ফসলি জমিতে বিষ প্রয়োগ করতে পারবো এতে সময় ও লোক জনবল লাগবে না। এটি তৈরি করতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে। কারো সহযোগিতা পেলে কাজ করতে উৎসাহ পাব, কারণ আমার বাবার সে সামর্থ্য নেই ।