রুবেল মজুমদার: শান্ত সুনিবিড় ছায়া ঘেরা কুমিল্লা ময়নামতি কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধিতে শুক্রবার বেলা ১১ টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিগিউলের করুণ সুরে সাত দেশের হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনকদের স্মরণ করলেন।
১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭শ ৩৭ জন সেনাকে এ সমাধিতে সমাহিত করা হয়
পবিত্র কোরআন ও বাইবেল থেকে পাঠ করে সৈনিকদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। করোনাকালীণ দু’বছর এই স্মরণ সভার আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছিলো।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের নেতৃত্বে স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাশ, অস্ট্রেলিয়ার হাউকমিশনার জেরেমি ব্রুর, কানাডার হাউ কমিশনার লিলি নিকোলাস, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, পাকিস্থানের ডেপুটি হাউকমিশনার কামার আব্বাস খোখার, ভারতীয় হাউ কমিশনারের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার এম এস সাবারওয়াল, কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসির প্রতিনিধি ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাব্বি আহসান, কুমিল্লা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ডিএসবি) আফজল হোসেন।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবাট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করতে আমরা প্রতি বছর নভেম্বর মাসে এখানে হাজির হই। নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। আমরা নিরবতা পালন করি। আজও আমরা তাই করেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাশ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার বীর শহীদদের মনে রাখে। প্রতি বছর নভেম্বরে আমরা যোদ্ধাদের স্মরণ করি।
কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি অবস্থিত। ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭শ ৩৭ জন সেনাকে এ সমাধিতে সমাহিত করা হয়। এদের মধ্যে ৫শ ৬৭ জন নাবিক, ১শ ৬৬ জন বৈমানিক ও ৩ জন সৈনিকের সমাধি রয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৩শ ৫৭ জন, কানাডার ১২ জন, অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের ৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১ জন, অবিভক্ত ভারতের ১ শ ৭১ জন, রোডেশিয়ার ৩ জন, পূর্বআফ্রিকার ৫৬ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, বার্মার ১ জন, বেলজিয়ামের ১ জন, জাপানের ২৪ জন এবং পোল্যান্ডের ১ জনের সমাধি রয়েছে।