গ্রেপ্তার ধর্ষণ মামলার আসামি মো. রনি হোসেন (ইনসেটে রনির আগের চেহারা)
হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষণ মামলার আসামি মো. রনি হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রনির বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার) মো. পারভেজ রানা জানান, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে র্যাবের টিম বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রনিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি পাসপোর্ট, ১টি বিমানের টিকেট, ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, জয়পুরহাট সদর থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর থেকে রনি পলাতক ছিলেন। তবে এ মামলা দায়েরের পর থেকে রনি গোপনে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সে যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো। তারই অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রনিকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর (২০২২) বুধবার রাতে জয়পুরহাট সদর থানায় এক নারী রনি হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। রনি হোসেন জয়পুরহাট সদরের ধানমন্ডি মহল্লার নুরুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাটের সদরের বিহারী পাড়ার গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন ওই নারী, তার স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহীর মতিহার থানার চরশ্যামপুর গ্রামে। রনি হোসেন কাতারে থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরিচয়। এর পর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। রনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে দেশে ফিরেন। এরপর তিনি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। আর কাবিন নামামূলে ভিকটিমকে বিয়ে করেন। ৬ সেপ্টেম্বর এরপর তারা ভিকটিমের ওই ভাড়া নেওয়া বাসায় স্বামী স্ত্রীর রূপে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর রনি হোসেন জানান, তার সাথে ঘর করবেন না। রনি এটাও জানান, তাকে শারীরিকভাবে ভোগ করার জন্য ওই ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেছিলেন। ফলে, এতোদিন তাকে কৌশলে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি। এর বিচার চেয়ে ভিকটিম মামলার বিবরণে আরও উল্লেখ করেন- অভিযুক্ত রনি হোসেন বিদেশে পালাতে পারেন। সে সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত গোলাম সরোয়ার হোসেন মিডিয়াকে জানান, ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ও পলাতক আসামি রনি হোসেন যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।