অদিত্য রাসেল: নাড়ির টানে বাড়ি আসতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন উত্তরের যাত্রীরা। সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। ফলে মহাসড়কের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশের ৮শ সদস্য।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সকালে কিছুটা রাস্তা ফাঁকা থাকলেও দুপুরের পরে মহাসড়কে যানবাহন বাড়তে শুরু করেছে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের পাশাপাশি মহাসড়কে বেড়েছে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল।
এদিকে, যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৮শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৪৫ কি.মি. মহাসড়কের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত হয়েছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ শনাক্ত করে সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের মুলিবাড়ি এলাকা, নলকা মোড় ও নলকা সেতু এলাকা, কড্ডার মোড় এলাকা, পাচলিয়া, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল বাজার, দাদপুর বাজার, ঘুড়কা বাজার, ভুইয়াগাঁতী বাজার ও চান্দাইকোনা বাজারসহ আরও কয়েকটি পয়েন্ট।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল কবীর বলেন, সকাল থেকে মহাসড়ক ফাঁকাই ছিল। তবে দুপুরের পড়ে কিছুটা গাড়ি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে মহাসড়কে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তি মুক্ত করতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক একদম স্বাভাবিক আছে, মহাসড়কে সেভাবে চাপ না বাড়লেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যানবাহন একটু বেশি চলাচল করছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা আমাদের ১০টি বাইক মোবাইল টিম, ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি পিকেট টিম, ২টা পিকআপ টিম ও ১টা অ্যাম্বুলেন্স টিমসহ মোট ১৪১জন পুলিশ সদস্য কাজ শুরু করছে। সচেতেনতায় মাইকিং ও জিডিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবকিছু মনিটরিং হচ্ছে। সবমিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. খালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, মহাসড়কে একটু একটু করে যান চলাচল বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই। তবে সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে আরও চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ২৪টি পিকেট টিম ও ২০টি মোবাইল টিমসহ মোট সাড়ে ৬শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানজটসহ যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে আমরা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করবো।