ফুটবলে লাথি মারায় স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা!

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ওসমান গণি (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত ওসমান গণি উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে।

পরিবারের অভিযোগ, ফুটবলে লাথি মারায় তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান গণি মারা যায়।

গত রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন আঙিনায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহতের জ্যাঠাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেশি মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙ্গিনায় ফুটবল খেলছিলো। ওসমান তার পাশেই নামাজের জন্য তৈরি করা টং ঘরে বসেছিলো। হঠাৎ বল এসে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে সে ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে। মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান তার ফুটবল কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। এতে মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি কাঠ নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে আজ (মঙ্গলবার) ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শাহ আলম আরো বলেন, হামলাকারী মন্টুর বেশ কয়েকজন ভাই রয়েছে। এরা সবাই উচ্ছৃঙ্খল। আমরা সবাই ঢাকা থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকতো। কয়েকদিন আগে তার বাবা গ্রামে এসে একটি বাড়ি করে। হামলাকারী মন্টু বাড়ি নির্মাণের সময় কাজ চেয়েছিলো। ওই কাজ না পেয়ে সে ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো। না হলে শুধু মাত্র ফুটবলে একটি কিক মারার কারণে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে?

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ওই কিশোর আজকে মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলা নেয়।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts