বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট প্রশিক্ষক, বৈমানিক ফারিয়া হোসেন লারা। ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আগুন লেগে এয়ার পারাবতের বিমানটি ঢাকার পোস্তগোলায় বিধ্বস্তে লারাসহ দুজন নিহত হন।
সেই লারাকে নিয়ে সিনেমা প্রযোজনা করছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এটি পরিচালনা করবেন শেখর দাশ।
ফারিয়া লারার মা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাবা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন। মেয়েকে নিয়ে ২০০৬ সালে ‘লারা’ নামের একটি উপন্যাস লিখেছেন সেলিনা হোসেন। ছবি ‘লারা’ বানানোর জন্য এরই মধ্যে সেলিনা হোসেনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েছেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক জ্যোতি বলেন, সেলিনা হোসেন ফারিয়া লারাকে নিয়ে ‘লারা’ নামে একটি উপন্যাসও লিখেছেন। সেই উপন্যাস এবং লারার বৈচিত্র্যময় জীবনের গল্প থেকে উৎসাহিত হয়ে আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রে হাউজ’ থেকে ‘লারা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে অনুদান প্রদান করেছে। জুরিবোর্ড কর্তৃক দারুণভাবে আমাদের গল্পটি প্রশংসিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও উৎসাহিত। লারার অদম্য কাহিনী বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি তরুণ-তরুণীকে তাদের জীবনের স্বপ্নের সাথে বেড়ে উঠতে চিরদিন উজ্জীবিত করবে বলেই আমাদের ঐকান্তিক প্রয়াস।
জ্যোতি জানান, ছবির চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে। বই থেকে ছবিটি তৈরি হলেও আরো গবেষণা করতে হবে। অনুদানের জন্য প্রাথমিক চিত্রনাট্য জমা দেওয়া হয়েছিল। চিত্রনাট্য সম্পন্ন হলে লারা চরিত্রের অভিনেত্রীর নাম ঘোষণা করব।
জ্যোতি আরও জানান, ‘ছবিতে লারার মা সেলিনা হোসেনের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ। দুটি চরিত্রেই মানানসই অভিনেত্রী নেওয়া হবে। আমি নিজেও করতে পারি যেকোনো একটি চরিত্র। নিজের ছবি বলে নয়, ভালো চরিত্রের খোঁজে কে না থাকেন। এ বছরই শুটিং শুরু করার ইচ্ছা।’
অনুদানে ৬০ লাখ টাকা পেলেও ‘লারা’ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক তিন কোটি টাকা। জ্যোতি বলেন, ‘আমাকে আরো প্রযোজক খুঁজতে হবে। বড় আয়োজনের ছবি এটি। একজন নারী পাইলটের স্ট্রাগল। লারার মতো ডায়নামিক নারীর যে লাইফস্টাইল সেটা নিয়ে ছবি তৈরি করতে এমন বাজেটের বিকল্প নেই। বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার লক্ষ্যেই ছবিটি নির্মাণ করব।’