বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তান ‘এ’ দলকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানদের ২১ রানে হারিয়েছে সাইফ হাসানের দল। ৩০৯ রান তাড়ায় নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রতিপক্ষের ইনিংস থেমেছে ২৮৭ রানে।
দলীয় ২৬ রানে ওপেনার জুবাইদ আকবরিকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিজে আধিপত্য বিস্তার করে আফগানরা। ওপেনার রিয়াজ হাসানের সঙ্গে ওয়ান ডাউনে নামা নুর আলি জাদরান ৯০ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের ২৬তম ওভারে নুর আলিকে ফিরিয়ে টাইগারদের লড়াইয়ে ফেরান পেসার তানজিম সাকিব। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৫৭ বলে ৫ চারের মারে ৪৪ রান করেন তিনি।
তবে সাজঘরে ফেরার আগে রিয়াজ তুলে নেন ফিফটি। ১০৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৮ রান করেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেটে শহিদুল্লাহ ও বাহির শাহ মিলে ভীতি ছড়িয়েছিল টাইগার শিবিরে। দুই স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ও রাকিবুল হাসান নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গেলেও পেসার রিপন মণ্ডল প্রতি ওভারেই অতিরিক্ত রান দিচ্ছিলেন। তাতে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল আফগানরা। অবশেষে ৪২তম ওভারে আক্রমণে এসে শহিদুল্লাহকে ফিরিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের লড়াইয়ে ফেরান রাকিবুল। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ রান করেন আফগান অধিনায়ক।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন বাহির শাহ। ৫০ বলে ৩ চারের মারে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ রান। শেষদিকে টাইগার বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে আফগান ব্যাটাররা প্রয়োজনীয় রান তুলে নিতে ব্যর্থ হয়। যদিও শারাফউদ্দিন আশরাফের ৮ বলে ১৪ ও ইজহারুলহক নাভিদের ৯ বলে ১৫ রানের ইনিংস শেষদিকে খেলা জমিয়ে তুলেছিল।
টাইগার বোলারদের মধ্যে ৬৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন সাকিব। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান ও সৌম্য সরকার। ১ উইকেট নিলেও সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন রিপন। ১০ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৯৩ রান।
এদিকে এ জয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলেও সমস্যা হবে না সাইফদের। বরং শ্রীলঙ্কা-ওমান ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে আফগানদের শেষ চারে খেলার ভাগ্য।
এর আগে কলম্বোয় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। হারলে বিদায় প্রায় নিশ্চিত, আর জিতলে সেমিফাইনাল এমন সমীকরণে শুরুতটা ভালো হয়নি সাইফদের। মাত্র ৩৪ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। এরপর অবশ্য জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে টাইগাররা। তাদের জুটিতে আসে ১১৭ রান। জাকির ৭২ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করে আউট হন।
তবে জয় ক্রিজ ছাড়েন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। ১১৪ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রান করেন তিনি। শেষদিকে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে সৌম্যের ৪৮ ও মেহেদীর ১৯ বলে ৩৬ রানে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আফগান বোলারদের মধ্যে ৬৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নেন কিছুদিন আগে সাকিবদের বিপক্ষে সিরিজ খেলা মোহাম্মদ সেলিম।