ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য ধ্বংসের সময় ১ হাজার ২২টি ইয়াবা বড়ি গোপনে পকেটে লুকানোর অভিযোগে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের উপপরিদর্শক (এসআই) যোবাইদুল হাছান বাদী হয়ে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মাহমুদুল হাসান কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের চান্দ্রশী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক আদেশে জেলায় জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংসের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জালাল উদ্দিনকে সভাপতি ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্টেট বেগম আফরিন আহাম্মেদ হ্যপীকে সদস্য সচিব করা হয়।
এছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান ও মাে. শাখাওয়াত হােসেনকে সদস্য করা হয়।
মাদদ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর বুধবার বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের দক্ষিণে জেলার বিভিন্ন ইউনিটের জব্দকৃত মাদক আলামত ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়। সেসময় কমিটির সকলের সঙ্গে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক মনােনিত সহকারী প্রসিকিউটর মাে. মাহমুদুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের মালখানায় জমা মাদকদ্রব্যগুলো আদালত চত্বরে আনা হয়। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জব্দকৃত মােট আলামত ছিলো ১ হাজার ১৫৮ ইয়াবাবড়ি, ৩৮ কেজি ৮৯০ গ্রাম গাজা, ১৬ বােতল এসকেএফ। মালখানা থেকে মাদকদ্রব্য আনার সময় মাহমুদুল এক প্যাকেট ইয়াবা বড়ি নিজের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। মাদক ধ্বংসের পর মাহমুদুলের ডান পকেট ফোলা ও তার গতিবিধি দেখে উপস্থিত সকল ম্যাজিস্ট্রেটদের সন্দেহ হয়। পরে সকল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ডেকে পকেট ফোলা থাকার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু মাহমুদুল সে সময় কোনো উত্তর দিতে না পারায় এক পর্যায়ে তার নিজের হাত দিয়েই প্যান্টের ডান পকেট থেকে কালো পলিথিনে মােড়ানাে ১ হাজার ২২ ইয়াবাবড়ি বের করান। উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেপ্তারসহ আলামত জব্দ করার নির্দেশ দেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মাহমুদুলকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বাদী উপপরিদর্শক যােবাইদুল হাছান ভূইয়া জানান, তাকে মামলামূলে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।