পর্যটনশহর কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের পর থেকে ২২ দিনে ট্রেনের আয় ভ্যাটসহ ১ কোটি ৪১ লাখের বেশি হয়েছে। তন্মধ্যে অনলাইন থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।
চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের ট্রেন চলাচল শুরু হলেও টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিলো ২৩ নভেম্বর। তখন থেকে সাপ্তাহিক মঙ্গলবার ছাড়া ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রেনটি পরিচালনা করে ভ্যাটসহ ১ কোটি ৪১ লাখের কিছু বেশি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, ২২ দিনে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে অনলাইন ও অফলাইনে এসি ও ননএসির ৩০ হাজার ৬২০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখের কিছু বেশি। গত ২৩ নভেম্বর থেকে টিকিট বিক্রি করে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ হিসাব করা হয়। তবে সেখান থেকে সপ্তাহিক বন্ধ (মঙ্গলবার) বাদ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে টিকিট বেশি বিক্রি হয়। অনলাইন থেকে আয়ের ১ কোটি ৮ লাখের বেশি টাকা আসে। অনলাইনে পছন্দের সিট বুকিং দিয়ে ট্রেন সেবা পাচ্ছেন যাত্রীরা।
এদিকে, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে গিয়ে কালোবাজারির খপ্পরে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শত শত যাত্রী। তাদের অভিযোগ অনলাইনে ঢুকে সিট খালি দেখা গেলেও বুকিং করার জন্য সিটগুলোতে ক্লিক করলে মুহূর্তের মধ্যে টিকিটগুলো নাই হয়ে যায়। এক মিনিটের ব্যবধানে সব টিকিট বুকিং হয়ে যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী বিরতিহীন একমাত্র ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে র্যাব-১৫ কে তদন্তের নির্দেশ দেন। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কিনা তদন্ত করে আগামি ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।