সংবাদ সারাবেলার প্রকাশক ও সম্পাদককে মিথ্যা মামলায় আসামি করার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক: ‘দৈনিক সংবাদ সারাবেলা’র প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে আইন বহির্ভূত সাজানো মামলার আসামি বানানোর অভিযোগ উঠেছে। মতলব উত্তর থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছানোয়ার পরিকল্পিতভাবে তার মামলা সাজিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পত্রিকাটির প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী আবু জাফর।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দৈনিক সংবাদ সারাবেলার প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী আবু জাফরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ষাটনল ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৩৪)।

কাজী আবু জাফর বলেন, দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা, হয়রানিমূলক ও অসৎ উদ্দেশে করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার সময় মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার সুগন্ধী এলাকায় নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে প্রচারণার জন্য নৌকার পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর সময় বিবাদীরা বেআইনি জোটবদ্ধভাবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র লাঠিসোঁটা ও ককটেল নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করেন। বিবাদীরা আমাদেরকে উদ্দেশ করে এলোপাতাড়িভাবে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

অথচ ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) ঘটনাকালীন (বেলা সাড়ে ১২টা) সময় মামলার ২নং বিবাদী সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আবু জাফর তার ঢাকার বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। যা সিসিটিভি ফুটেজেও প্রমাণ রয়েছে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নিছক হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামালাটি সাজানো হয়েছে। মামলায় ধারা- ১৪৩/ ১১৪/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/ ৫০৬ (২) পেনাল কোড সংযোজন করা হয়েছে।

ঘটনার দিন ও সময়ে সংবাদ সারাবেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আবু জাফর চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকায় ছিলেন না। তিনি বহুদিন যাবত এলাকায় যানও না। তিনি সংবাদ সারাবেলা পত্রিকাটি প্রকাশনার দায়িত্বে ঢাকার নিজ অফিসে ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজে কর্মব্যস্ত থাকেন।

সংবিধান মতে, থানায় যে কেউ সুবিচার চেয়ে মামলা করতে পারেন। তবে প্রাথমিকভাবে সেটি অভিযোগ আকারের থানায় লিপিবদ্ধ হয়। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে তা নিয়মিত মামলা হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে আইনের সেই বিধানকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতামূলে মামলাটি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ এলে সেটি তদন্ত করে তারপরে নথিভুক্ত করার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে মতলব থানার ওসি ছানোয়ার আইনের সে বিধান মানেননি।

দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মামলা গ্রহণের বিষয়ে ওসি ছানোয়ারের কাছে সেলফোনে জানতে চান- এ ধরনের মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা? ওসি জানান, নিশ্চয়ই এই মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে মেরিট রয়েছে। আমি তদন্ত করে মামলার বিবাদীদের কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করেছি। আর তদন্ত করেই মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে।’

কোন ধরনের তদন্ত করেছেন এমন প্রশ্নে ওসি জানান, ‘আমার পুলিশ তদন্ত করেছে তারা আসামীদের কাছে ককটেল পেয়েছে, ভোটে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমি মামলটি নিয়েছি।’

মামলার এজেহারে সময় ও দিন নির্ধারণ করা আছে ২৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটা। আর আপনি মামলটি নিয়ে তা নথিভূক্ত করেছেন পরেরদিন ২৬ ডিসেম্বর। এই স্বল্প সময়ে আপনি কীভাবে তদন্ত করে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আসামীদের কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করেছি তারপরে আমি মামলা নিয়েছি।’

এফইউসি/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts