৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সারাদেশে ৭ম টাঙ্গাইলের কামরুল

টাঙ্গাইলের সন্তান মো. কামরুল ইসলাম ৪৩তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে সারাদেশে ৭ম স্থান অধিকার করেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট ২৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৭ম স্থান অধিকার করেছেন রুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. কামরুল ইসলাম।

মো. কামরুল ইসলাম টাঙ্গাইল পৌর শহরের কাগমারা মেছের মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম এবং কাঞ্চনমালা দম্পতির সন্তান।

তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ২০১৮ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি ২০১৩ সালে টাঙ্গাইল মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয় এবং ২০১১ সালে পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৫ সালে টাঙ্গাইল সদরের চকগোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন।

কামরুলের এটি ছিল দ্বিতীয় বিসিএস পরীক্ষা। এর আগে ৪১ তম বিসিএসেও তিনি রেলওয়ে প্রকৌশল ক্যাডারে সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে তার প্রথম কর্মজীবন শুরু হয়। সেই চাকরি করা অবস্থায়ই তিনি অনুভব করেন যে, প্রশাসন ক্যাডারই একমাত্র ক্যাডার যেখানে একদম প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ থেকে শুরু করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এরপর থেকেই শুরু হয় তার বিসিএস পরীক্ষার প্রস্ততি। চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতিটা সঠিকভাবে নিতে না পারায় এক পর্যায়ে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন। এরপর দিন-রাত পরিশ্রম করে বিসিএস প্রস্ততি শুরু করেন। পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে তিনি আজ ৪৩তম বিসিএসে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয় প্রশাসন ক্যাডারে ৭ম স্থানও অর্জন করেছেন তিনি।

বিসিএসে সফল হওয়ার নেপথ্যের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বই পড়তে প্রচুর পছন্দ করি। শ্রদ্ধেয় আকবর আলী খান, ড. মোহাম্মদ আমিন স্যারদের বই পড়ে প্রশাসন ক্যাডারে আসার অনুপ্রেরণা পাই। প্রতিদিন পড়তাম। খুব বেশি পড়িনি। প্রতিদিন একটা টার্গেট নিতাম যে এতটুকু আজ পড়বো। এইজন্য যদি ১২ ঘণ্টা লাগে তাই পড়তাম, এক ঘণ্টা লাগলে এক ঘণ্টাই। গড়ে দিনে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মতো হতো। আল্লাহর রহমতে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি যাতে করে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যেতে পারি এজন্য সকলের দোয়া চাই।’

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts