‘নোঙর’ নিয়ে গানে গানে ভোটারদের দ্বারে ডলি সায়ন্তনী

এবার নেমেছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে। গানে দর্শকের মন জয় করলেও, এবারের চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন। তবে সেই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে নির্বাচনের মাঠে ছুটে বেড়াচ্ছেন সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী।

পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডলি সায়ন্তনী। ভোটারদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন নিজের ‘নোঙর’ প্রতীককে। সকাল থেকে সন্ধ্যা চষে ফিরছেন ভোটের মাঠ। টেলিভিশনে দেখা প্রিয় শিল্পীকে সামনে পেয়ে উচ্ছসিত ভোটাররাও।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) তিনি পাবনা-২ আসনের সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগের মাঝে অনেক সময়ই ভোটারদের আবদার একটি গান শোনানোর। তাই তাদের কথা রাখতে খালি গলায় দু’লাইন গান গেয়ে শোনাতে হয় ডলিকে। যা এই নির্বাচনকে দিয়েছে নতুন মাত্রা, উৎসবের আমেজ।

নৌকার প্রার্থীর সাথে টেক্কা দিতে ডলি সায়ন্তনী চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ। নিজের প্রত্যাশা জানাচ্ছেন ভোটারদের। আর ভোট চাচ্ছেন ‘নোঙর’ প্রতীকে। আর গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজারে প্রচারণায় গিয়ে ভোটারদের ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘পাবনা-২ আসনের মানুষের পাশে থাকতে, তাদের জন্য কাজ করতে ভোটের মাঠে নেমেছি। আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ভোটের মাধ্যমে সবার সহযোগিতা চাই। সবার ভালবাসা পেলে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠে নেমে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। প্রচারণা চালাতে গিয়ে অনেক সময়ই তারা আবদার করেন গান শোনানোর। যেহেতু আমি এই এলাকার মানুষ, সবাই আমার আপনজন। তাই বিষয়টি আমিও উপভোগ করছি।’

ডলি সায়ন্তনীর ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পাবনা-২ আসনের নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি।

তিনি বলেন, ‘ডলি সায়ন্তনী যেহেতু সেলিব্রেটি মানুষ। তার অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তার কারণে ভোটারের অংশগ্রহণ বাড়বে। যেটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বেশি ভোটারের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই বিষয়ে ডলি সায়ন্তনীর অংশগ্রহণ ও তার প্রচারণা সহায়ক হবে।’

টেলিভিশনের পর্দায় দেখা ডলি সায়ন্তনীর প্রার্থী হওয়াকে ভোটের মাঠে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আশ্বাস দিচ্ছেন ভোট দেওয়ার। সুজানগর উপজেলার বাঁধেরহাট এলাকার কৃষক কাশেম প্রামানিক বলেন, ‘তাকে এতদিন টিভিতে দেখছি। এহন সামনাসামনি দেখলাম। খুব ভাল মানুষ মনে হলো। তাকে ভোট দেওয়া যায়।’

আমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, ‘তাকে দেখে তার কথা শুনে তো ভালই মনে হলো। সালাম দিলেন, ভোট চাইলেন। এহন ভোটের দিন কি হয় দেহি। ভোট দিবের যাবের পারলি তাকে ভোট দেবো।’

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts