প্রতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে কুয়াকাটা সৈকত। বুকিং থাকে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। ব্যবসায়ীরা থাকেন অনেকটা উৎফুল্ল। তবে এ বছরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে এবছর হোটেল মোটেলসহ ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতি থাকলেও তেমন সারা নেই পর্যটকের। খালি পড়ে আছে অধিকাংশ হোটেল মোটেলের কক্ষ।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে রঙ্গিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে বেশিরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সৈকতে রয়েছে গুটি কয়েক পর্যটক। অলস সময় পার করছেন ছাতা ব্যবসায়ী, ওয়াটার বাইক ব্যবসায়ী ও ফটোগ্রাফাররা। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
হোটেল খান ফ্রেন্ডস পার্কের পরিচালক আরিফ সুমন বলেন, প্রতিবছরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের একসপ্তাহ আগে আমাদের পুরো হোটেল অগ্রিম বুকিং পেতাম। কিন্তু আমাদের মাত্র ২০ শতাংশ রুম বুকিং পেয়েছি। আমাদের যে প্রস্তুতি সে পরিমাণ পর্যটক এ বছর পাচ্ছি না।
হোটেল সমুদ্র আমান ইন- এর পরিচালক রিপন বলেন, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের ধাক্কায় থার্টি ফার্স্টের মত বড় বাজারেও আমরা লোকসান দিচ্ছি। করোনার সময় আমাদের যেভাবে পর্যটক ছিলো না, এখনো বলা চলে সে অবস্থা বিরাজ করছে। দুই চারটি রুম ছাড়া সব খালি রয়েছে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তারমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে। তবে আকাঙ্খার ২০ শতাংশও বুকিং হচ্ছে না। যে কারণে হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেওয়া ২৬টি পেশার মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ডিসেম্বর জুড়ে পর্যটকদের চাপ থাকে। তবে বর্তমানে কিছুটা কম তারপরও সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। যাতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।