অমরেশ দত্ত জয়: চাঁদপুরের মতলবের পথে প্রান্তরে ও বাড়ির আঙিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে আমের মুকুল। চারপাশে ছড়াচ্ছে সোনালি হলুদ আর কচি সবুজ রঙ মিশ্রিত দৃশ্যপট ও মনকাড়া ঘ্রাণ। মৌমাছির দল মুকুলে মুকুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। মুকুলের সু-মিষ্টি সুবাস মানুষের মনকেও মোহিত করে তুলছে প্রতিক্ষণ। ঋতুরাজ বসন্তের এমন সু-নিপুণ দৃশ্য দাগ কেটে যায় চোখের কোণে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল ও নতুন আমের গুটি। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে মতলবের সর্বত্রই।
এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগান ও বাড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আমের গাছ। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল লক্ষ্য করা যায়।
আমের মুকুল যেন প্রকৃতিকে সাজিয়েছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে অন্যরকম সৌন্দর্য্য। ইতোমধ্যেই গাছে গাছে আমের গুটি আসতে শুরু হয়েছে।
মতলবে আম বাগানের মালিক আনোয়ার জানান, দেশি জাতসহ আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, হারিভাঙা, ঝিনুক এসব আম রয়েছে তার বাগানে।
তিনি বলেন, গাছে মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি। এরমধ্যেই আমের ছোট ছোট গুটি লক্ষ্য করছি। এসব গুটি টিকিয়ে রাখার জন্য ও পোকামাকড় দমনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চৈতন্য পাল জানান, গেলো দুই তিন সপ্তাহ থেকে গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়াগত কারণে দেশীয় জাতের গাছে অজস্র মুকুল এসেছে। এ সময় আম গাছে বসবাস করা হপার বা ফুদকী পোকা যারা মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালইনাশক স্প্রে করতে হবে।