দেশের ৩২২টি উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
১১টি প্রকল্পের মোট সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা (শুধু সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে অন্তর্ভুক্ত)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে নেওয়া হবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সাতটি নতুন প্রকল্প এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে একটির খরচ না বাড়িয়ে শুধু সময় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে একনেক। প্রকল্পের তথ্যপত্র অনুযায়ী, ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬২টি জেলার ৩২২টি উপজেলার ৬৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ (তৃতীয় পর্যায়) সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে পাঁচটি জেলার ৩৫টি উপজেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, ১৬৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ চ্যান্সেলারি ভবন ও মিশরের কায়রোতে আবাসিক ভবন নির্মাণ, কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামজ্জিদ-বালিয়াদীঘি সীমান্ত (এন-০৬) ৪৮১ জাতীয় মহাসড়ক (নবাবগঞ্জ অংশ) যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ৩৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের উন্নয়ন কক্সবাজার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের উন্নয়ন এবং ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স নির্মাণ।
সংশোধিত প্রকল্প তিনটি হচ্ছে- ২৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা (বর্তমানে ব্যয় ধরা ২ হাজার ১৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) অতিরিক্ত ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ও ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগি সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত), ১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা (বর্তমানে ব্যয় ৯২৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা) ব্যয়ে প্রমোটিং রেজিলিয়েন্স ফর ভালনারেবল থ্রু অ্যাকসেস টু ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ইমপ্রুভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (প্রভাতি) এবং ১ হাজার ৪৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে (বর্তমানে ব্যয় ৩,৪৩৩ কোটি টাকা) ব্যয়ে ৮টি বিভাগীয় শহরে (প্রথম সংশোধিত) পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, কার্ডিয়াক ও কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)।
এছাড়া বৈঠকে শাহবাগের বাংলাদেশ বেতার কমপ্লেক্স ঢাকার আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর এবং এর নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।