সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ১৪ এপ্রিল হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যেরা। দু’টি গুলি প্রায় ফুটো করে দেয় সালমানের ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল। এই ঘটনায় যে দু’জন বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেন, তারা হলেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ।
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমানের ফ্ল্যাটে যে দু’জন গুলি চালিয়েছিলেন, তারা সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত। ঘটনার দিন দুয়েকের মধ্যেই গুজরাটের ভূজ থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে অস্ত্র চালানকারী সোনু ও অনুজের নাম। বন্দুকবাজদের বয়ান অনুযায়ী, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন তারা। তার পরে সুরাতের তাপ্তী নদীতে বন্দুক ফেলে দেন তারা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই নদী থেকে একটি বন্দুক ও কিছু কার্তুজ উদ্ধার করেছে মুম্বাই অপরাধ দমন শাখা।
গুলিকাণ্ডের পর থেকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন সালমান। সারাক্ষণই ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন তিনি। উদ্বেগে সালমানের পরিবার-সহ তার অনুরাগীরাও। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছেন তিনি।