বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে। ২০১৮ সালে তার শরীরে ধরা পড়ে ‘হাই গ্রেড’ ক্যানসার। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসা করানোর পর বর্তমানে ক্যানসারমুক্ত সোনালি। তবে শুরুতে চিকিৎসকরা তাকে বলেছিলেন— ‘বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৩০ শতাংশ।’
সম্প্রতি ‘হিউম্যান অব বম্বে’ নামের একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সোনালি। সেখানেই নিজের জীবনের কঠিন এই জার্নির গল্প শুনিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, একটি রিয়েলিটি শোয়ের শুটিং চলাকালীন সময়ে ক্যানসার শনাক্ত হয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম, কীভাবে আমি ক্যানসারমুক্ত হতে পারি? কারণ, আমি মনে করতাম ক্যানসার খুব সাধারণ অসুখ।
সোনালি আরও বলেন, যখন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকলাম, তখন আমি বুঝতে পারি এটি কোনো সাধারণ অসুখ নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ক্যানসার শনাক্তের পর পিইটি স্ক্যান করানোর সময়ে আমার স্বামী ও চিকিৎসকের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল।
সে সময় শরীরে ক্যানসারের কোষ ছড়িয়ে পড়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পিইটি’ স্ক্যান হচ্ছে আপনার শরীরের মাঝে ক্যানসারের কোষের অবস্থানের পাশাপাশি বিস্তারের পরিমাণও প্রকাশ করে। যা আমার ‘পিইটি’ স্ক্যানের রিপোর্টে দেখা যায়। আমার শরীরে ক্যানসার এমনভাবে ছড়িয়েছিল যে, এটি একটি ক্রিসমাস ট্রির মতো দেখাচ্ছিল। রিপোর্টটি হাতে পাওয়ার পর বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেন সোনালির স্বামী।
ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসকদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন সোনালি। এর কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, চিকিৎসা নেওয়ার সময়ে আমি চিকিৎসকদের কথা শুনে মেজাজ হারিয়ে ফেলি।
কারণ চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আমার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৩০ শতাংশ। চিকিৎসকরা এটা কীভাবে বলতে পারেন, আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমার কীভাবে ক্যানসার হতে পারে?
ক্যানসারের চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে সোনালির শরীর একপ্রকার ভেঙে ফেলা হয়েছিল। আবার পুনরায় সেটা গঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে সোনালি বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা যা বলেছিলেন, সেটা সত্য বলেছিলেন। তবে ক্যানসার নিয়ে এখনও সমাজে নানারকম ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তাই এ বিষয়ে কথা বলা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে ‘আগ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সোনালি। সিনেমায় তার বিপরীতে ছিল গোবিন্দ। পরবর্তীতে রূপ ও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নেন এই অভিনেত্রী।